বিজ্ঞাপন

কাঁকন বিবি: হার না মানা এক মুক্তিযোদ্ধার আখ্যান

March 22, 2018 | 6:10 pm

।। মো. এবাদুর রহমান শামীম ।।

বিজ্ঞাপন

‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর,

অর্ধেক তার গড়িয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’

বিশ্বের সব মহৎ সৃষ্টি বা অর্জনের পেছনে নারীর প্রত্যক্ষ অবদান রয়েছে। আমাদের জাতিসত্তার শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের প্রতীক মহান স্বাধীনতা সংগ্রামও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। মহান স্বাধীনতা বাঙালি জাতিসত্তার ইতিহাসে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে দেশমাতৃকাকে মুক্ত  করতে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল দেশের সর্বস্তরের মুক্তিকামী জনসাধারণ। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে মহান স্বাধীনতা আন্দোলন পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে নারী সমাজের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত সাহসী ও তাৎপর্যপূর্ণ। এরই ধারাবাহিকতায় মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীর অংশগ্রহণ এবং ভূমিকা ছিল বহুমুখী ও বীরত্বপূর্ণ।

বিজ্ঞাপন

মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান কেবল সম্ভ্রম হারানো, নির্যাতিত ও শরণার্থী নারীর অবর্ণনীয় লাঞ্ছনা-বঞ্চনার গল্পে শেষ নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণাদান, মুক্তিক্যাম্পে খাবার তৈরি ও সরবরাহ, পোশাক সংগ্রহ ও সরবরাহ, মুক্তিবাহিনীর গুপ্তচরবৃত্তি ও যুদ্ধাহতদের পরম মমতায় সেবা-শুশ্রূষার পাশাপাশি সম্মুখ ও গেরিলা যুদ্ধে নারীর অংশগ্রহণ মহান মুক্তিযুদ্ধে ইতিহাসকে সমৃদ্ধ ও গৌরবান্বিত করেছে। কাঁকন বিবি, তারামন বিবি, সিতারা বেগম, শিরিন বানু মিতিল, আশালতা, নাজমা বেগম (কানন বণিক), হালিমা পারভীন, ফাতেমা খাতুন, রওশন আরা, করুণা বেগম, মিরাসি বেগম এবং কাঞ্চনমালাসহ নাম না জানা আরো অনেক নারী রণাঙ্গনে অসমসাহসিকার সাথে বীরদর্পে যুদ্ধ  করেছেন।

দুঃখজনক হলেও সত্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে নারী অবদান যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়নি। শুধু মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে নয়, কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প এবং চলচ্চিত্রেও নারীর সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠেনি। এমনকি বীরাঙ্গনা ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির ক্ষেত্রেও নারীরা বৈষম্যের স্বীকার। আর স্বাধীনতা অর্জনের ৪৬ বছরে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং ইতিহাসের পাতায়  ঠাঁই না পাওয়া এমনি একজন বীরাঙ্গনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তির বেটি, মুক্তিযুদ্ধের অগ্নিকন্যা ও বীরমাতা নামে খ্যাত অকুতোভয় সংগ্রামী নারীর নাম কাঁকন বিবি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় দখলদার পাকিস্তানি মেজর তাঁকে দেখে বলেছিল, ‘একে তো বাঙালি মনে হয়না। মনে হয় অন্য জাত।’ পাক মেজরের ওই ‘জাতাভ্যিমানেই’ প্রথম দফায় ধর্ষণের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন তিনি।  তবে যুদ্ধদিনের সাক্ষী হওয়া অন্য বাঙালি নারীদের মতোই শেষ রক্ষা হয়নি কাঁকন বিবিরও।

বিজ্ঞাপন

হ্যাঁ তিনি বাঙালি নন, তিনি খাসিয়া নারী। খাসিয়া মুক্তি বেটি হিসেবেই তিনি অধিক পরিচিত তাঁর এলাকায়। জাতিগত পরিচয়ের বাইরে তিনি নিজেকে মানুষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন মুক্তির কাতারে। কাঁকন বিবি প্রমাণ করেছেন, তিনি বাংলার। তিনি মানুষের। তিনি মানবতার।

কাঁকন বিবি নামে পরিচিতি পাওয়া মুক্তিযোদ্ধার আসল নাম কাঁকাত হেনিনচিতা।  তিনি খাসিয়া নৃগোষ্ঠীর মানুষ ছিলেন। তার পূর্বপুরুষেরা মেঘালয় থেকে সুনামগঞ্জে আসেন।

কাকাঁত হেনিনচিতার জন্ম ১৯৪৮ সালে।  ব্রিটিশ শাসনের অধীন থাকা ভারতের সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ঝিরাগাঁও গ্রামে। শৈশবে সেখানেই বেড়ে ওঠেন তিনি। বাবার নাম নেহা হেনিনচিতা ও মায়ের নাম দামেলি নিয়তা। তিন ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট কাঁকন। মায়ের গর্ভে থাকতে বাবাকে আর জন্মের দেড় মাস পরে মাকে হারান তিনি।

বিজ্ঞাপন

এরপর বড় বোনের কাছে আশ্রয় হয় তাঁর।  এ সময় বোনের উদ্যোগে বোগলা ক্যাম্পের সীমান্ত রক্ষী আব্দুল মজিদ খানকে বিয়ে করেন কাকাঁত। নাম হয় কাঁকন বিবি। বিয়ের পর সংসারেও সুখ ছিল না তার।

১৯৭১ সালে কাঁকনের বয়স চুয়াল্লিশ এর মতো। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন সেক্টর পাঁচে। সেক্টর কমান্ডার মীর শওকত তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন শত্রুক্যাম্পের খবরাখবর নিয়ে আসার।

পাঁচবার সফল হয়েছিলেন, একবার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। এপর যে নির্মম অত্যাচার চলেছে, কৃষ্ণবর্ণের শরীরে ৯০ বছর বয়সেও দাগগুলো ছিল স্পষ্ট।

কাকাঁত লড়েছেন সম্মুখ সমরেও, একটি নয়, তিন তিনটি। একটি অপারেশনে গেরিলা যোদ্ধারা যখন গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু উড়িয়ে দিতে পারছে না তখন কাঁকাত কলার ভেলায় করে ডিনামাইটগুলো সেতুর কাছে যান এবং পরে সেটি উড়িয়ে দেয়া হয়।

সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ‘ডুয়েল এজেন্ট’ হিসেবে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করেছেন।

সুনামগঞ্জের টেংরাটিলা, আমবাড়ী, বাংলাবাজার, টেবুর, আন্দরটিলা, দূরবীন প্রভৃতি অঞ্চলের যুদ্ধে তার বিশেষ বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

কাকাঁত বা কাঁকনের প্রথমে বিয়ে হয়েছিল ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের সেনা পাঞ্জাব প্রদেশের আব্দুল মজিদ খানকে। সেটি সম্ভবত ১৯৫৮ কি ১৯৫৯ সালে।

বিয়ের পর কাঁকন বিবি হিসেবে নাম হয়। মজিদ খান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে বদলিও হতেন। কাঁকন বিবিকেও তিনি সাথে নিয়ে যেতেন তখন। বিবাহিত জীবনের আট বছরে ঘরে তিনটি সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু জন্মের পরপরই মরা যায় তারা।

একাত্তরের শুরুতে কাঁকন বিবির স্বামী তার দেশ পাকিস্তানকে রক্ষা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, ভুলে যান স্ত্রী কাঁকনের কথা। এই অবস্থায় কাঁকন বিবি অর্থনৈতিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে হন্যে হয়ে খুঁজতে শুরু করেন। তখন পর্যন্ত এই যুদ্ধ এবং যুদ্ধের কারণ নিয়ে মাথা ঘামানের মতো অবস্থা তাঁর ছিলনা। তবে এই খোঁজার মধ্যে দিয়েই কাঁকন বিবি আবিস্কার করেন ভয়ানক এক পৃথিবী। দেখেন শ্রেষ্ঠ জল্লাদখানাগুলোর অত্যাচার। এক পর্যায়ে মজিদ খান সিলেট আখালিয়া ক্যাম্পে থাকা অবস্থায় কাঁকন বিবিকে ছেড়ে উধাও হয়ে যান।

পরে কাঁকন ফিরে আসেন বোনের সংসারে। মজিদ খানও তাঁর কোনো খোঁজ-খবর নেয়নি। তবে তাঁর কারণেই পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর জীবন বাঁচে কাঁকনের।

যুদ্ধের আগে কাঁকন বিবির আবার বিয়ে হয় কৃষক শাহেদ আলীর সঙ্গে। জন্ম নেয় সন্তান সখিনা বিবি।

এর মধ্যেই শুরু হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধ। সুনামগঞ্জ-সিলেট অঞ্চলটি ছিল পাঁচ নম্বর সেক্টরের অধীন। এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন লে. কর্নেল মীর শওকত আলী। কাঁকন বিবি যে গ্রামে থাকতেন তার পাশেই মুক্তিযোদ্ধাদের একটি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। আবার এই ক্যাম্প থেকে খানিকটা দূরেই ছিল পাকিস্তানীদের ক্যাম্প। যা স্থানীয়ভাবে টেংরা ক্যাম্প নামে পরিচিত ছিল।

মীর শওকত আলী একদিন মুক্তিযোদ্ধার ক্যাম্প পরিদর্শনে এসে কাঁকন বিবিকে পাকিস্তানীদের ক্যাম্প থেকে খবর সংগ্রহের কাজে লাগানোর জন্য উৎসাহিত করেন। রাজি হয়ে যান কাঁকন।

বুদ্ধি খাটিয়ে একটি ময়লা ও ছেঁড়া কাপড় পরে একদিন দিনের বেলায় ভিক্ষা করার নাম করে ঢুকেন টেংরা ক্যাম্পে। কৌশলে তথ্য সংগ্রহ করেন। পাকিস্তানি সেনারা কিছু ময়দা ও আটা ভিক্ষা দেয়।

পরের দিন কাঁকন বিবি একই কায়দায় ঢুকেন টেংরা ক্যাম্পে। এ সময় তাকে আটকে ফেলা হয়। কিন্তু নির্যাতন শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এর মধ্যে পাকিস্তানি ক্যাম্পে যাওয়ায় স্বামী শাহেদ আলী ছেড়ে দেন কাঁকনকে।

টেংরা ছাড়াও সুনামগঞ্জ, সিলেট,গোবিন্দগঞ্জ, জাউয়া বাজার ক্যাম্পে গিয়ে সব তথ্য এনে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতে থাকেন কাঁকন। আর তার দেয়া তথ্যে চালানো হয় বেশ কিছু অভিযান।

এর মধ্যে টেংরা ক্যাম্পে রাজাকাররা টেংরা ক্যাম্পে কাঁকনের বিষয়ে তাদের সন্দেহের কথা জানিয়ে দেয় পাকিস্তানিদের। তার ভগ্নিপতি মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক হওয়ায় তাকে হত্যার কথাও জানায় তারা।

আর টেংরা ক্যাম্পে ঢুকার পর আটক করা হয় কাঁকনকে। পাকিস্তানি সেনাদের ধর্ষণের শিকার হন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সেনারা কাঁকনের উরুতে লোহার শিক ঢুকিয়ে তাকে অজ্ঞান করে ফেলে। তারপরও জ্ঞান ফেরার পর জিজ্ঞাসাবাদে কিছুই স্বীকার করেননি কাঁকন। জানান প্রথম স্বামী মজিদ খানের খোঁজে ক্যাম্পে এসেছেন তিনি।

মজিদ খান সিলেটে থাকেন জানার পর ক্যাম্প কমান্ডার ওয়্যারলেসে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং মজিদ খান স্বীকার করেন যে, কাঁকন বিবি নামে তার স্ত্রী আছেন। সে সুবাদেই বেঁচে যান তিনি। তবে মজিদ খানের সঙ্গে আর কোনোদিন দেখা হয়নি।

যুদ্ধ শেষে স্বামীহারা কাঁকাত হেনিনচিতা বা কাঁকন বিবি ঢাকায় চলে আসেন। বঙ্গবন্ধুর বাড়িও খুঁজে বের করেন। কথা হয় জাতির জনকের সঙ্গে। নিজের পরিবারেই তাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

বঙ্গবন্ধুর আপত্তি থাকলেও ’৭৫-এর শুরুর দিকে কাকাঁত ফিরে যান সুনামগঞ্জে নিজের গ্রামে। ওই বছরই হত্যা করা হয় জাতির জনককে। অভিভাবক হারায় বাংলাদেশ, কাকাঁতও।

এরপর কাকাঁতের এই কীর্তির কথা যুদ্ধ শেষে ভুলে যেতে থাকে সবাই।  সহায়-সম্বলহীন কাঁকন বিবি একেবারে অসহায় হয়ে পড়েন। পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত করা ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের মধ্যে মাথাগোঁজার ঠাঁই পর্যন্ত কোথাও পাননি রণাঙ্গনের এই বীর সৈনিক। একসময় দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ঝিরাগাঁও গ্রামের আব্দুল করিমের বাড়িতে কাঁকন বিবি মেয়েসহ আশ্রয় নেন। যুদ্ধজয়ী কাঁকন বিবি জীবিকার তাগিদে অন্যের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করতেন, কখনোবা বাজারে বাজারে লাকড়ি বা শুটকি বিক্রি করতেন। এক পর্যায়ে পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক নির্যাতিত ও যুদ্ধাহত কাঁকন বিবি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং অপ্রকৃতিস্থও হয়ে যান। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং কিছুটা সুস্থ হন। কিন্তু কাজকর্ম করার শক্তি হারিয়ে ফেলেন। মুক্তি সংগ্রামে বিজয়ী হলেও জীবন নামক সংগ্রামের পরাজিত মুক্তিরবেটি জীবনধারনের জন্য বেঁচে নেন ভিক্ষাবৃত্তি। আর এইভাবে অগ্নিকন্যা কাঁকন বিবি পরাজিত জীবন সংগ্রামের গ্লানি বহন করে প্রায় ২৫ বছর অতিবাহিত করেন।

এরপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পত্রিকার পাতায় ১৯৯৬ সালে উঠে আসে তার বীরত্ব। আর প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সাথে দেখা কেরেন। দেয়া হয় খাস জমি, সেখানে উঠে বাড়ি। সরকারি ভাতার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে মাসোহারার ব্যবস্থাও হয়।

সবশেষ গতকাল বুধবার রাতে ৮৮ বছর বয়সে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বীরপ্রতিক খেতাব পেয়েছিলেন কাঁকন বিবি। ১৯৯৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু তা আর গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়নি। গেজেটে খেতাব না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়েই চলে গেলেন চিরযোদ্ধা কাঁকন বিবি।

তথ্যসূত্র:

১. বাংলাদেশ ই-মুক্তিযুদ্ধ আর্কাইভ ট্রাস্ট

২. মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসী (আইয়ুব হোসেন ও চারু হক), পৃষ্টাঃ ২২৮-২৩০

৩. বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও নারী মুক্তিযোদ্ধাঃ ১ম খণ্ড (মেহেরুন্নেসা মেরী), পৃষ্টাঃ ১৯-২৪

৪. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (সুনামগঞ্জ জেলা/দোয়ারাবাজার উপজেলা)

৫. লিংকনের আমেরিকায় কিছু দিন (বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু)

৬. কাঁকন বিবির খোঁজে (রনেন্দ্র তালুকদার পিংকু)

 

সারাবাংলা / এসবি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন