বিজ্ঞাপন

কালিদাস হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামিকে খালাস

December 11, 2018 | 3:50 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: হিন্দু বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ও বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কালিদাস বড়াল হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজন ও যাবজ্জীবন পাওয়া তিনজনসহ ৬ আসামিকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।

আসামিদের করা আপিল ও মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিশ্চিকরণের আবেদন) শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

চিতলমারী উপজেলার রহমতপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকীর দুই ছেলে আলমগীর সিদ্দিকী, নাছির সিদ্দিকী ও কলাতলা গ্রামের সোনা মিঞা সরদারের ছেলে স্বপন ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া পাঁচ আসামির মধ্যে হাইকোর্টে রায়ে খালাস পেয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে সাঈদুল ইসলাম ওরফে সাঈদ ফকির, ঘোলা গ্রামের আবদুল হক কাজীর ছেলে সাইফুর রহমান ওরফে বাবলু কাজীর ফাঁসি বহাল আছে।

খালাস পাওয়া আসামিদের মধ্যে আলমগীর সিদ্দিকী কারাগারে, বাকিরা পলাতক রয়েছেন।

এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া তিনজনই খালাস পেয়েছেন। তারা হলেন, চিতলমারীর রহমতপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকীর অপর ছেলে শওকত সিদ্দিকী, সদর উপজেলার চরগাঁ গ্রামের হাশেম মোল্লার ছেলে বাবলু মোল্লা ও একই উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে মানিক। এদের মধ্যে শওকত সিদ্দিকী জেলে। বাকি দুই আসামি পলাতক।

বিজ্ঞাপন

আলমগীর সিদ্দিকী ও শওকত সিদ্দিকীর আপিলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও জি এম বাবুল আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মান্নান মোহন। রাষ্ট্রনিয়োজিত আইনজীবী হাসনা বেগম ও কালিদাস বড়ালের স্ত্রী হ্যাপি বড়ালের রিভিশন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন নকিব সাইফুল ইসলাম।

পরে খালাস পাওয়া শওকত সিদ্দিকীর আইনজীবী জি এম বাবুল আক্তার বলেন, ‘আলমগীর সিদ্দিকী ও শওকত সিদ্দিকীর করা আপিল গ্রহণ করে উচ্চ আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন। এছাড়াও খালাস পাওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে কালিদাস বড়ালের স্ত্রী হ্যাপি বড়ালের রিভিশন আবেদনটিও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।’

২০১৩ সালের ৫ জুন বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ এস এম সোলায়মান এ মামলার রায় ঘোষণা করেছিলেন। রায়ে কালিদাস বড়াল হত্যাকাণ্ডের দায়ে পাঁচ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আদেশ দেয় আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয় তিন আসামিকে। মামলার অভিযোগ থেকে নয় আসামি বেকসুর খালাস পায়।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ২০ আগস্ট সকালে বাগেরহাট শহরের সাধনা মোড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কালিদাস বড়ালকে গুলি করে হত্যা করে। ওই ঘটনায় সে সময় বাগেরহাটসহ সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। হত্যাকান্ডের পরদিন ২১ আগস্ট নিহতের স্ত্রী হ্যাপি বড়াল বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

ওই বছরের ৩১ অক্টোবর বাগেরহাট থানার তত্কালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম মামলার তদন্ত শেষে ২২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।

সারাবাংলা/এজেডকে/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন