বিজ্ঞাপন

কাশ্মীরে ভারতীয় পুলিশ গাড়ি বহরে হামলায় মৃত ৪০

February 15, 2019 | 9:31 am

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

ভারত-শাসিত কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় দেশটির আধা-সামরিক পুলিশ বাহিনীর অন্তত ৪০ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাহিনীটির একটি গাড়ি বহরে এই হামলা চালায় পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদ। খবর বিবিসির।

পুলিশ জানিয়েছে, ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) গাড়ি বহরে করে শ্রীনগরে যাওয়ার পথে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ি দিয়ে সিআরপিএফ সদস্যবাহী একটি বাসে হামলা চালানো হয়।

হামলার দায় স্বীকার করেছে জইশ-ই-মোহাম্মদ।

বিজ্ঞাপন

১৯৮৯ সাল থেকে কাশ্মীরে ভারতের শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয়। তখন থেকে এখন পর্যন্ত এটাই ছিল ভারতীয় সামরিক বাহিনীর ওপর চালানো সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।

হামলার পর জইশ-ই-মাহমুদের নেতা মাসুদ আজহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ভারত।

পাকিস্তান জানিয়েছে, এই হামলা তাদের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। কিন্তু এই হামলার পেছনে তারা জড়িত ছিল, এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই কাশ্মীর নিজেদের বলে দাবি করে।

যা ঘটেছে

বৃহস্পতিবার কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়ে দিয়ে ভারত-শাসিত শ্রীনগরে যাচ্ছিল সিআরপিএফ’র গাড়ি বহর।

ভারতীয় গণমাধ্যম অনুসারে, স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আনুমানিক ৩০০ থেকে ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ি দিয়ে ৭০টি সিআরপিএফ সদস্যবাহী গাড়ির একটি বহরে হামলা চালানো হয়। গাড়ি বহরে প্রায় ২৫০০ সামরিক সদস্য অবস্থান করছে।

বিজ্ঞাপন

এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছে, যে গাড়িটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেটিতে ৪৪জন সিআরপিএফ সদস্য ছিল। আহত অনেকের অবস্থা গুরুতর। মৃতের সংখ্যা পরবর্তীতে আরও বাড়তে পারে।

কাশ্মীরে হামলা

১৯৮৯ সালে কাশ্মীরের কিছু অংশে ভারতের শাসন জারি হওয়ার পর থেকে একাধিক আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবারের হামলাটি ছিল গাড়ি ব্যবহার করে চালানো দ্বিতীয় হামলা।

এর আগে কাশ্মীরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর চালানো সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা ঘটে ২০০২ সালে। ওই জঙ্গি হামলায় অন্তত ৩১ জন প্রাণ হারায়। পরবর্তী প্রাণঘাতী হামলা ঘটে ২০১৬ সালে, উরি’র একটি সামরিক ঘাঁটিতে।

এছাড়া গত বছর বিভিন্ন হামলা ও অভিযানে বেসামরিক নাগরিক, সামরিক বাহিনীর সদস্য ও জঙ্গিসহ কাশ্মীরে প্রাণ হারিয়েছে ৫০০’র বেশি মানুষ।

জইশ-ই-মোহাম্মদ

জইশ-ই-মুহাম্মদ একটি পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি দল। ২০০০ সালে দলটি প্রতিষ্ঠা করেন মাসুদ আজহার। ভারতে এর আগেও হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে দলটির বিরুদ্ধে। ২০০১ সালে দিল্লিতে ভারতীয় পার্লামেন্টে এক হামলা চালিয়েছে বলে দাবি ভারতের।

এছাড়া কাশ্মীরে আত্মঘাতী হামলা চালানোর শুরুও এই দলটিই করেছে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাতিসংঘ দলটিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

২০০২ সালে দলটিকে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে দলটির নেতা মাসুদ আজহার এখনো দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়াল এলাকায় অবস্থান করছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে।

সারাবাংলা/ আরএ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন