বিজ্ঞাপন

কৃষি উন্নয়নে গবেষণায় নজর দিতে হবে: অর্থমন্ত্রী

June 22, 2018 | 9:50 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, কৃষিখাতের উন্নয়নের জন্য আমাদের গবেষণার দিকে নজর দিতে হবে। সে সঙ্গে গবেষণার ফলাফল যাতে দ্রত কৃষকদের কাছে পৌঁছতে পারে সেই পদক্ষেপ নিতে হবে।

শুক্রবার (২২ জুন) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেট বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা শীর্ষক সেমিনারে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমতির উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম। সংগঠনের সভাপতি সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এম এ সাত্তার মণ্ডল।

বিজ্ঞাপন

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি গবেষণার ফলাফল মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের কাছে যেতে নাকি ১৬ বছর লাগে। যদি তাই হয় তাহলে এই গবেষণা কোনো কাজে আসবে না। কারণ ততদিনে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে নতুন প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হয়। তাই আমাদের কৃষি অর্থনীতিবিদদের এমন গবেষণা করতে হবে যাতে এর ফলাফল কৃষকরা দ্রুত পেতে পারেন।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিখাতে উন্নতি করতে হলে আমাদের আইসিটি এবং প্রযুক্তির দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রযুক্তির প্রথমযুগে আমরা বেশ পিছিয়ে ছিলাম। খালেদা জিয়ার আমলে প্রযুক্তির গুরুত্ব না বুঝার কারণে একে গ্রহণ করেনি। তবে বর্তমানে আমরা প্রযুক্তি ব্যবহারের দিক থেকে প্রথম সারিতে রয়েছি।’

প্রফেসর এম সাত্তার মণ্ডল বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট উচ্চভিলাসী নয়। দেশের অর্থনীতির আকার বাড়ায় বাজেটের আকার বেড়েছে। দেশে বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ না হলে এ বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটের আকার অনুযায়ী কৃষিখাতের বরাদ্দ তেমন বাড়েনি। গত বাজেটের চেয়ে মাত্র সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে কৃষিখাতে। অথচ স্থানীয় সরকার খাতে বরাদ্দ বেড়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা।’

মূল প্রবন্ধে ড. শামসুল আলম বলেন, ‘মোট দেশজ উৎপাদনের তথা জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। জিডিপিতে কাঙ্ক্ষিতভাবে কৃষিখাতের অবদান কমছে, শিল্প ও সেবাখাতের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। তা সত্ত্বেও এখনও দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ জীবন জীবিকার জন্য কোনো না কোনোভাবে কৃষিখাতের ওপর নির্ভর করে।’

তিনি বলেন, ‘গত কয়েকবছর ধরে জাতীয় বাজেটে কৃষিখাত অবহেলিত থেকে যাচ্ছে। বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হলেও ভর্তুকি একই রাখা হচ্ছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে কৃষিখাতে বরাদ্দ ও ভর্তুকি একই পরিমাণ অর্থাৎ ৯ হাজার কোটি টাকা স্থির হয়ে আছে।’

সভাপতির বক্তব্যে সাজ্জাদুল হাসান বলেন, ‘বাজেটে আর্থিক সক্ষমতা বাড়ছে। তার প্রতিফলন কৃষিখাতেও দেখাতে হবে। বাজেটে কৃষিখাতে আরও বেশি বরাদ্দ বাড়াতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/একে

আরও পড়ুন

কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ছে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন