বিজ্ঞাপন

কেন অনবরত যৌন কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে ভ্যাটিকানকে?

August 13, 2018 | 7:24 pm

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

একের পর এক যৌন কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস হওয়ায়, চরম সংকটের মুখে পড়েছে রোমান ক্যাথলিক চার্চ ও বর্তমান পোপ ফ্রান্সিস।

যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে চিলিতে চার্চ অফিস তল্লাশি করে বিভিন্ন নথি উদ্ধার করা হলেও অভিযুক্ত যাযক সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। একই অভিযোগে অস্ট্রেলিয়াতে একজন প্রধান যাযককে ডিটেনশন ও বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে একজন কার্ডিনালের পদত্যাগের পর প্রশ্ন উঠেছে যাযকতন্ত্র নিয়েও। একটায় প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে এতদিন কীভাবে তাদের রক্ষা করা হয়েছিল?

গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চার্চগুলোতে ঘটা এই ধরনের কেলেঙ্কারির ঘটনা জনসম্মুখে আসতে শুরু করে। এ ছাড়াও উঠে এসেছে ভিকটিম ও তার সুরক্ষায় চার্চের ব্যর্থতার কথাও। গত পাঁচ বছরে অনেক ক্যাথলিকই আশা করছেন বর্তমান পোপ ফ্রান্সিস চার্চের ওপর আবারও মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং চার্চকে আধুনিকায়ন করতে সক্ষম হবেন।

বিজ্ঞাপন

তবে পোপ ফ্রান্সিসের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, যৌন কেলেঙ্কারির বিচারে তার অবস্থান অনেকটা মিশ্র প্রকৃতির, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যেসব যৌন নিপীড়নের স্বীকার ব্যক্তিকে পোপ উপদেশ দিয়েছিলেন ও যৌন কেলেঙ্কারির ব্যাপারে চার্চের প্রতিক্রিয়াতে বিশ্লেষক বলছেন, যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রতিরোধে কোনো বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণে চার্চ একবারেই ব্যর্থ।

বোস্টনের আর্চবিশপ কার্ডিনাল সিয়েন ওম্যালি গত মাসে বলেছেন, ‘যাযকদের বিরুদ্ধে যখন এ ধরনের অভিযোগের তদন্ত করা হবে, অধিকাংশ মানুষই সেটা সন্দেহের চোখে দেখে, তারা বিশ্বাস করতে চাই না।’ তিনি আরও বলেন, ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়ে চার্চের নৈতিক কতৃত্বকে তারা দুর্বল করে ফেলে।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের জন্য পোপ ফান্সিসকে কৃতিত্ব দেওয়া যেতে পারে। গত মাসে তিনি উর্ধ্বতন একজনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন, যেখানে থিওডোর ম্যাক ক্যারিককে কলেজ অব কার্ডিনালের পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এ ছাড়া ওয়াশিংটনের আর্চবিশপ চার্চের ক্ষমতা ব্যবহার করে একাধিক যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটিয়েছেন। চার্চের বিচারে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এমআই

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন