বিজ্ঞাপন

কোটা পর্যালোচনা কমিটির মেয়াদ বাড়ল ৯০ কার্যদিবস

July 19, 2018 | 10:56 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা কমিটির মেয়াদ ৯০ কার্যদিবস বাড়িয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এই কমিটির মেয়াদ ১৫ কার্যদিবসের অতিরিক্ত আরও ৯০ কার্যদিবস বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) আদেশ জারি করেছে মন্ত্রণালয়।

গত ২ জুন সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের এই কমিটি করে সরকার। কমিটিতে সাতজন শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাকে সদস্য করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বাধীন এই কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মাদ শহিদুল হক, অর্থ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, জনপ্রশাসনসচিব ফয়েজ আহম্মদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব অপরূপ চৌধুরী, সরকারি কর্মকমিশনের সচিব আকতারী মমতাজ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান।

কমিটিকে কমিটি গঠনের দিন থেকে ১৫ কর্মদিবস অর্থাৎ আগামী ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল।

কোটা পর্যালোচনা কমিটি গত ৮ জুলাই তাদের প্রথম সভা করে কর্মপন্থা নির্ধারণের পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে কোটা সংক্রান্ত দেশি-বিদেশি সব ধরনের তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়।

বিজ্ঞাপন

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার ২ মাস ২২ দিন পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোটা পর্যালোচনায় কমিটি করে।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত; এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ।

কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ৮ এপ্রিল থেকে জোরালো আন্দোলন শুরু করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। ঢাকার শাহবাগে এদিন অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে শুরু হওয়া আন্দোলন দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে।

আন্দোলনের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল সংসদে বলেছিলেন, কোটা পদ্ধতিই থাকবে না, এটা ‘বাতিল’।

বিজ্ঞাপন

তবে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি জাতীয় সংসদে বলেছেন, কোটা পদ্ধতি থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ রাখতে হাই কোর্টের রায় আছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংস্কার করা হলে তা আদালত অবমাননা হবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, কোটার বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য কমিটি করা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে।

সারাবাংলা/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন