ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে গুলি, বেঁচে গেলেন তামিমরা

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে এক মসজিদের ভেতর বন্দুকধারী হামলায় অন্তত ছয় জন নিহত হয়েছে। ঘটনার সময় মসজিদটিতে জুম্মার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন তামিম ইকবালসহ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একাধিক সদস্য। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১:৪০ মিনিটের দিকে আল নূর মসজিদে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে জরুরি সেবাদানকারী ১০টি গাড়ি মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ বাহিনীর টুইট অনুসারে, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গোলাগুলি চলছে।

আরও পড়ুন- বেঁচে গেছি, সবাই দোয়া করবেন: তামিম

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে, তিনি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মতো দেখতে পোশাক ও হেলমেট পরিহিত এক ব্যক্তিকে মসজিদে প্রবেশ করে গুলি করতে দেখেছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনার সময় মসজিদটিতে জুম্মার নামাজ পড়তে শিশুসহ প্রায় ৩০০ মানুষ অবস্থান করছিল।

ঘটনার পরপরই আশপাশের সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালও ভেতর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে একাধিক আহতকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন- সিরিজ ‘সন্ত্রাসী’ হামলায় বিপর্যস্ত নিউজিল্যান্ড, ২৭ প্রাণহানি

এদিকে, এই ঘটনার পর নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন তার বিকেলের সকল কাজ স্থগিত করেছেন।

এদিকে, শনিবার (১৬ মার্চ) ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভাল মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্ট খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। ওই মাঠেই অনুশীলন করছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। দুপুরে তারা নামাজ পড়তে আল নূর মসজিদে যান। তারা যখন মসজিদের কাছাকাছি পৌঁছান, তখন বন্দুকধারী হামলা শুরু করেছে। দ্রুত ক্রিকেটাররা হ্যাগলি পার্কের পেছন দিয়ে বেরিয়ে মাঠে চলে যান। সেখানে ড্রেসিং রুমে অবস্থান করছেন সবাই।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ট্রেইনার মারিয়ো ভিল্লাভারায়েন জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে থাকা খেলোয়াড়রা আতঙ্কিত হয়েছে, তবে ঠিক আছে।

আরও পড়ুন- নিউজিল্যান্ডে ক্রিকেটাররা নিরাপদে আছেন: বিসিবি

তিনি বলেন, আমি ঘটনার কিছুক্ষণ পরই তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কিছু দেখেনি তবে গুলির আওয়াজ শুনেছে। তারা তখন মসজিদের বাইরে ছিল। গুলির আওয়াজ শুনে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার দলের কোচিং সহকারীরা সকলেই হোটেলে ছিলেন।

স্থানীয় গণমাধ্যম অনুসারে, এ ঘটনায় অন্তত ছয় জন নিহত হয়েছে। তবে পুলিশ বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এখনো হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে কিছু জানায়নি।

সারাবাংলা/আরএ/টিআর