বিজ্ঞাপন

খরচ দ্বিগুণ হচ্ছে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের

June 20, 2018 | 11:04 pm

।। জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকায় ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হচ্ছে। পরিকল্পনা কমিশনে এই প্রকল্পের নতুন ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৮৭৪ কোটি ৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৪৩৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকার এই প্রকল্পে ব্যায় বাড়ছে ৪৩৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। শতাংশের হিসাবে তা ৯৯ দশমিক ৪০ শতাংশ। শুধু তাই নয়, দুই বছর মেয়াদও বাড়ানো হচ্ছে। চলতি জুনেই শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এর মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত।

প্রকল্পটি সংশোধনের কারণ হিসাবে প্রথম সংশোধনী প্রস্তাবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, সেচ খালের ওপর ছোট আকারের ৩৭টি আরসিসি বক্স কালভার্ট ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলের জন্য হালটগুলোতে ১৮টি আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ এবং অতিরিক্ত চারটি নতুন আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। এ ছাড়া, নতুন আইটেম হিসেবে এক লাখ টাকা ব্যয়ে অফিস ভবন নির্মাণ, ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্সের জন্য ১ হাজার ৮২২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা সংস্থানের প্রস্তাব, অতিরিক্ত ২ দশমিক ৫২ লাখ বর্গ মিটার সিসি ব্লকসহ স্লোপ প্রটেকশনের জন্য অতিরিক্ত ১৬ হাজার ৫৪৩ কোটি ৯০ লাখ ৯০ লাখ টাকা ব্যয় বৃদ্ধি এবং ঠিকাদারের উদ্ধৃত দর ও সওজের ২০১৫ সালের রেট সিডিউল অনুযায়ী ব্যয় প্রাক্কলন করায় প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে।

প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্বে থাকা পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর এলাকায় অবস্থিত ইটনা, মিঠাইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে এবং এসব এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য।

বিজ্ঞাপন

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ২৯ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত। ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ৪৩৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।

প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়, প্রকল্পটি হাওর এলাকায় অবস্থিত। হাওর এলাকায় বর্ষাকালে নৌপথে চলাচল করা গেলেও শুষ্ক মৌসুমে জনসাধারণের যাতায়াতসহ কৃষিজাত ও অন্যান্য পণ্য পরিবহনে সমস্যার মুখে পড়তে হয়। কিশোরগঞ্জ জেলার এই তিন উপজেলার সড়ক যোগাযোগের সুবিধা বাড়াতে একটি সংযোগ সড়ক নির্মাণের  জন্য প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে প্রকল্পটির কিছু অংশের পরিমাণ ও ব্যয় কম বা বেশি এবং কিছু নতুন অংশ অন্তর্ভুক্ত করে ৮৯৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৫ সালের  জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত সংশোধিত প্রকল্পটির ওপর ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা  অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তে সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। সংশোধিত পুনর্গঠিত ডিপিপির প্রাক্কলিত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৮৭৪ কোটি ৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।

বিজ্ঞাপন

এই প্রকল্পের আওতায় ১৩১ দশমিক ২১ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ, যানবাহন, একটি ডাবল কেবিন পিকআপ, চারটি মোটরসাইকেল, একটি স্পিডবোট, একটি লং ইঞ্জিন সংগ্রহ, ৩১ দশমি ৪৮ লাখ ঘনমিটার সড়কবাঁধে মাটির কাজ, ২৮ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট নির্মাণ, ২৮ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার হার্ড শোল্ডার নির্মাণ, ১৯০ মিটার আরসিসি বক্স কালর্ভাট নির্মাণ, ২৬৯ দশমিক ৬৮ মিটার আরসিসি ব্রিজ নির্মাণ, ৫৯০ দশমিক ৪৭ মিটার পিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, ১১৪টি সাইন পোস্ট, ৭০০টি রাইট অব ওয়ে পিলার স্থাপন এবং পরিবেশগত প্রভাব  সমীক্ষা সম্পাদন ও পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা সম্পাদন ও পরিবেশগত ছাড়পত্র সংগ্রহসহ অন্যান্য কাজ করা হবে।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন