বিজ্ঞাপন

খসরুর হোটেলে অভিযানে অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে: দুদক

September 18, 2018 | 4:25 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাজধানীর বনানীতে হোটেল সারিনায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদের বিরুদ্ধে চলা অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা অভিযান চালায় দুদকের একটি দল। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলম। অভিযানে দুদক আরও কিছু তথ্য চাইলে হোটেল কর্তৃপক্ষ সময় চায়। তাদের সময় দেওয়া হয়েছে।

প্রণব কুমার ভট্টাচার্য আরও জানান, মানি লন্ডারিং, ব্যাংকে অস্বাভাবিক লেনদেন এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই বছরের এপ্রিল মাসে বিএনপির আট নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এর মধ্যে রয়েছেন, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটি সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও এম মোরশেদ খান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল।

বিজ্ঞাপন

এর বাইরে বিএনপি নেতা এম মোরশেদ খানের ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খানের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান চলছে।

এরই অংশ হিসেবে গত ১৬ আগস্ট পরিচালক কাজী শফিকুল দুদকে আসতে বলে অমীর খসরুকে চিঠি পাঠান। চিঠিতে ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় উপস্থিত হতে বলা হলেও আমীর খসরু নিজে উপস্থিত না হয়ে তার আইনজীবীর মাধ্যমে এক মাসের সময় চান। তবে এক মাস সময় না বাড়িয়ে দুদক ১০ সেপ্টেম্বর হাজির হতে বলে। সেদিনও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর দুদকে হাজির হওয়ার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বিএনপি’র এই নেতা। ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ ওই রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৬ সেপ্টেম্বর (রোববার) ওই রিট সরাসরি খারিজ করে দেন। ১৭ সেপ্টেম্বর (সোমবার) চেম্বার আদালত সেই রায় স্থগিত করেননি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন