খালেদার স্বাস্থ্য নিয়ে শঙ্কা, পছন্দের হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি
April 21, 2018 | 11:51 am
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে তার পছন্দের হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি জানিয়েছে দলটি।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২১ এপ্রিল) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, ‘ কারাগারে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে আমরা যে খবর পাচ্ছি তাতে জাতি উৎকণ্ঠিত। গতকাল ২০ এপ্রিল তার পরিবার এবং ১৮ এপ্রিল আমিসহ আমাদের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দকে কারাফটক থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ সুস্পষ্ট কোনো কারণ দেখানো হয়নি।’
‘অর্থাৎ গত ১০ দিন পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও দলের নেতারা দেশনেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাননি। এতে করে উদ্বেগ আরো বেড়েছে,’ বলেন ফখরুল।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘এখনো সময় আছে, অবিলম্বে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিয়ে তাকে তার পছন্দের চিকিৎসক দ্বারা এবং হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন এবং বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন। অন্যথায় দেশনেত্রীর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে তার দায়-দায়িত্ব পুরোটাই সরকারকে বহন করতে হবে। এ বিষয়ে নোংরা রাজনীতি না করে সোজা পথে তাকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার আহ্বান জানাচ্ছি।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে কারাকর্তৃপক্ষ স্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেয়নি অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া বেশ কিছু ব্যধিতে আক্রান্ত। এর মধ্যে এক্যুইট রিউমেটিক আর্থারাইটিস তাকে বেশ কষ্ট দিচ্ছে। চিকিৎসকরা অবিলম্বে তার পছন্দের হাসাপাতাল ইউনাইটেডে চিকিৎসার সুপারিশ করেছেন। বিশেষ করে কয়েকটি রক্ত পরীক্ষা ও এম আর আই পরীক্ষা তার জন্য অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।’
সরকারি চিকিৎসকদের সুপারিশকৃত অর্থোপেডিক বেড সরবরাহ না করা, ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা না করানো, পরিবারের সদস্য ও দলের নেতাদের খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়ার পেছনে সরকারের হীন উদ্দেশ্য আছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব।
বিজ্ঞাপন
খালেদা জিয়াকে নিয়ে মন্ত্রীদের কটূক্তি শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং চক্রান্তের বহিঃপ্রকাশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ও অন্য মন্ত্রীরা যখন বলেন, হায়াত-মওত আল্লাহর হাতে, তখন এটা স্পষ্ট তারা দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়, বেগম জিয়াকে রাজনীতি ও আগামী নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়।’
সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘এত ভয় কেন? দেশনেত্রীকে মাঠে নামতে দিন। সকল রাজনৈতিক দলকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে দিন। যথেচ্ছ পুলিশ ব্যবহার বন্ধ করুন— দেখুন আপনারা কোথায় দাঁড়াতে পারেন।’
‘রাজনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সাহস আপনাদের নেই। আপনারা এখন জনগণ থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন। তাই দেশনেত্রীকে কারাগারে রেখে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচন করতে চান। কিন্তু জনগণ সে সুযোগ দেবে না’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অাতাউর রহমান ঢালী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহদফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
সারাবাংলা/এজেড/জেডএফ
** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook