বিজ্ঞাপন

‘গণসংবর্ধনায় নির্বাচনী বার্তা দেবেন শেখ হাসিনা’

July 19, 2018 | 2:21 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণসংবর্ধনা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘গণভবনে বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি (শেখ হাসিনা) নেতাকর্মীদের জন্য দিক নির্দেশামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এবারে গণসংবর্ধনায় হয়তো তিনি জনগণের উদ্দেশে আগামী জাতীয় নিবার্চন সম্পর্কে বার্তা দেবেন।’

বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনাস্থলের প্রস্তুতি পরিদর্শনের সময় তিনি এ কথা বলেন। আগামী শনিবার (২১ জুলাই) ওই গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান জনতার সমুদ্রে পরিণত হবে বলে আশা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণসংবর্ধনা হবে। সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সংবর্ধনায় জনতার সমুদ্র তৈরি হবে।’ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই সংবর্ধনাস্থল প্রস্তুত করা হয়েছে এবং সেখানে কয়েক লাখ মানুষের জমায়েত হবে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারাদেশের সব শাখাকে আমরা আমন্ত্রণ করিনি। তারপরও স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেতারা আসবেন। এখানে ঢাকা সিটি এবং ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা আসবেন। স্বাধীনতার ইতিহাসে সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে স্বতঃস্ফূর্ত, সুশৃঙ্খল গণসংবর্ধনা আগামী অনুষ্ঠিত হবে ২১ জুলাই।’ এ সময় ‘চলো চলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলো, চলো চলো ঢাকা চলো’— এই স্লোগান নিয়ে এরই মধ্যে ঢাকার আশপাশের সবাই প্রস্তুতি সভা করে ফেলেছেন বলেও জানান তিনি।

এই গণসংবর্ধনা থেকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের কোনো নির্দেশনা আসতে পারে কিনা— জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদের বলেন, ‘নেত্রী কী বলবেন, সেটা তিনিই জানেন। সেদিন তাকে ঘিরেই সংবর্ধনা। সামনে জাতীয় নির্বাচন আছে, সেটাও ফোকাস। নির্বাচনকে সামনে রেখে তার বক্তব্য আছে।’

‘বর্ধিতসভাগুলো শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এবার হয়তো তিনি জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন, মেসেজ দেবেন নিবার্চন নিয়ে। আর কী কী বলবেন, সেটা তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।’—   বলেন কাদের।

বিজ্ঞাপন

এই গণসংবর্ধনা প্রকারান্তরে নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের মহড়া কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘জাতির পক্ষ থেকে, জনগণের পক্ষ থেকে এটা তার (শেখ হাসিনা) প্রাপ্য। এই প্রাপ্য তাকে দিতেই হবে। কৃতজ্ঞ জাতি অকৃতজ্ঞ হয়ে যাবে যদি শেখ হাসিনার প্রাপ্য তাকে দেওয়া না হয়। তার যে অর্জন, উন্নয়ন— তা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বের বিস্ময়। তার প্রতি সম্মান জানাতেই এই সংবর্ধনা।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা সোনা বদলে দিয়ে নকল জিনিস রাখা হয়েছে— বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘উনি( মির্জা ফখরুল) অনেক কথাই বলবেন। কারণ উনারা আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ। গণতন্ত্র থেকে সাত ধারা তুলে দেওয়ার ফলে তাদের মুখে এটা শোভা পায় না। যারা নিজেরাই আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ, তাদের মুখে অন্যকে দুর্নীতিবাজ বলা শোভা পায় না।’ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই ঘটনায় কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত করে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যকে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য (বিউটি) উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ঠিক আছে, সুস্থ বক্তব্য ঠিক আছে, গণতন্ত্রের ভাষায় কথা বলা ঠিক আছে। গণতন্ত্রের ভাষায় কথা বলাই তো গণতন্ত্রের বিউটি। কিন্তু আজ আমাদের প্রতিপক্ষ বিএনপি বলছে দেশে গণতন্ত্র নেই। অথচ তারাই অবিরাম অগণতান্ত্রিক ভাষায় তারা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে।’

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কার্যনির্বাহী সদস্য এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার, আনোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন