November 19, 2018 | 6:42 pm
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: রাজধানীর হাতিরঝিল গুলশান লেকের অংশ দিয়ে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। ঢেউয়ের আঘাতে লেক পাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। জনস্বার্থে হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদনটি দায়ের করেন গুলশান সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ।
আবেদনের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ সাংবাদিকদের জানান, ওয়াটার ট্যাক্সি চলায় ঢেউয়ের আঘাতে গুলশান পুলিশ প্লাজা থেকে বাড্ডার গুদারাঘাট পর্যন্ত লেকের তীরবর্তী ওয়াকওয়ে ধসে পড়ছে। ফলে ঝুঁকিতে পড়েছে লেকপাড় ঘেঁষে ওঠা ভবনগুলো। তাই ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান, ওয়াটার ট্যাক্সি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান করিম গ্রুপ, পুলিশের আইজিপি এবং ডিএমপি কমিশনারকে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ওয়াটার ট্যাক্সি চালুর পর ঢেউয়ের আঘাতে গুলশান ১৩৬ নম্বর থেকে ১৪৩ নম্বর সড়কে লেকপাড়ে ভূমি ধস, পাড়ে ভাঙন এবং ওয়াকওয়েতে ফাটল ধরেছে। ফলে ঝুঁকিতে পড়েছে লেকপাড় ঘেঁষে ওঠা ভবনগুলো।
ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ আরও বলেন, লেকপাড় বাঁধানো এবং ওয়াকওয়ে সংস্কার করা হয়েছে। ইতোপূর্বে গুলশানের বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে গত সেপ্টেম্বরে একটি স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান চালানো হয়। সে সময় কিছুদিন ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল বন্ধ ছিল। কিন্তু লেকপাড় না বেঁধে এবং ওয়াকওয়ে সংস্কার না করেই আবারও ওয়াটার ট্যাক্সি চালানো শুরু হয়েছে।
সারাবাংলা/এজেডকে/এটি