May 21, 2018 | 5:48 pm
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বকেয়া গৃহকর আদায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বন্ধের দাবি জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে তিনি এই দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (২১ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) কার্যালয়ে মেয়রের সঙ্গে দেখা করেন সুজন।
খোরশেদ আলম সুজন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি মেয়রকে বলেছি, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ক্রোকি পরোয়ানা জারি করে গৃহকর আদায়ের পদক্ষেপ সঠিক নয়। এতে গরীব মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। শহরে ঘরবাড়ি আছে মানেই সবাই স্বচ্ছল-বিত্তবান নন। যেসব বিত্তবান লোক, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কোটি কোটি টাকার হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে। এ ব্যাপারে মেয়র একমত পোষণ করেছেন।’
সুজন জানান, চলতি রমজান মাসে গৃহকর আদায়ে আর কোনো অভিযান করা হবে না বলে জানিয়েছেন মেয়র। ভবিষ্যতে ক্রোকি পরোয়ানার বদলে মানবিক পদক্ষেপের মাধ্যমে বকেয়া গৃহকর আদায়ের বিষয়টি ভেবে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত ১৪ মে থেকে নগরীতে বকেয়া গৃহকর আদায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান শুরু করে সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। আগের বছর কর পুর্নমূল্যায়নের মাধ্যমে বর্ধিত হারে গৃহকর আদায়ের উদ্যোগ নিয়ে নিজ দলের ভেতরে বিরোধিতার মুখে পড়েছিলেন মেয়র। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বর্ধিত গৃহকর আদায়ের বিরুদ্ধে জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বর্ধিত গৃহকর আদায়ের এই উদ্যোগ ঠেকিয়ে দেয়।
বৈঠকে সুজন বন্দরনগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পোর্ট কানেকটিং এবং আগ্রাবাদ এক্সেস রোড সংস্কারের দাবি জানিয়ে বলেন, এই দুইটি সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলে। ইপিজেড, বন্দর, কাস্টমস ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবী নারী পুরুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। বন্দরকেন্দ্রিক বিভিন্ন ট্রাক, ট্রেইলর, কাভার্ড ভ্যানও চলাচল করে এই দুটি সড়ক দিয়ে।
এর প্রেক্ষিতে মেয়র ১৫ দিনের মধ্যে এই দুটি সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করার জন্য প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন।
নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলমান বিউটিফিকেশন কাজের প্রশংসা করে সুজন বলেন, অগ্রসর ওয়ার্ড থেকেও অনগ্রসর ওয়ার্ডগুলোকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। নগরীতে কয়েকটি নির্মল বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে।
এ ছাড়া ত্রিপল ছাড়া খোলা ট্রাকে ময়লা-আবর্জনা পরিবহন বন্ধ করারও অনুরোধ জানিয়েছেন সুজন।
‘জনদূর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগ’ কর্মসূচির আওতায় খোরশেদ আলম সুজন বিভিন্ন সেবা সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছেন। এর অংশ হিসেবে তিনি মেয়রের সঙ্গে বসেন।
এ সময় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার মজুমদার, কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিম, হাসান মুরাদ বিপ্লব ও আব্দুল কাদের, সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ ও আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নাগরিক উদ্যোগের পক্ষে সংগঠনের সদস্য সচিব হাজী হোসেন কোম্পানি, সদস্য এ এস এম জাহিদ হোসেন ও স্বরূপ দত্ত রাজু উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/এমআই