বিজ্ঞাপন

গেইল-ঝড়ে ম্লান হয়ে গেলেন সাকিবরা

April 20, 2018 | 1:13 pm

সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

ক্রিস গেইল যেদিন খেলেন, সেদিন কারও কিছুই করার থাকে না। সেদিন বাকিরাও ম্লান হয়ে যান তাঁর কাছে। সাকিব আল হাসানের অপেক্ষাও যেমন বাড়ল। ৩০০ উইকেটের জন্য কাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ১ উইকেট পেলেই চলত সাকিবের। কিন্তু গেইল-ঝড়ে অপেক্ষায় থাকতে হলো তাঁকে। শেষ দিকে নেমে অবশ্য সাকিব ছোটোখাটো একটা ঝড় তুলেছেন, তবে দলের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে তার অনেক আগেই।

আইপিএলে বল হাতে আগের তিন ম্যাচেও কিছু না কিছু করেছিলেন সাকিব, তিন ম্যাচেই জিতেছিল তাঁর দল। কাল যে দুই ওভার বল করলেন, সেটা ভুলেই যেতে চাইবেন। ২ ওভার বোলিংয়ে ২৮ রান খরচায় কোনো উইকেট পাননি। ৩০০ উইকেট ও ৪ হাজার রানের দুর্দান্ত এক ডাবলের জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাঁকে।

সেজন্য গেইলের কৃতিত্বটাই বেশি। শুরুতে একটু সতর্ক থাকলেও ঝড় শুরুর পর ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। সাকিবের ওপর দিয়ে বেশি ঝড় চালাননি, তবে রশিদ খানের এক ওভারে পর পর চার ছয় মেরেছেন। ৬৩ বলে ১ চার ও ১১ ছক্কায় ১০৪ রানে অপরাজিত থাকেন গেইল। তার রানে ভর করে নির্ধারিত ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে পাঞ্জাবের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯৩ রান।

বিজ্ঞাপন

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় হায়দরাবাদ। ওপেনার শিখর ধাওয়ান রান সংগ্রহের আগেই ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন। এরপর দলীয় ১৪ রানে ব্যাক্তিগত ৬ রান করে মোহিত শর্মার বলে বোল্ড হন ঋদ্ধিমান সাহা। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও মনিশ পান্ডে তৃতীয় উইকেটে ৭৬ রানের জুটি গড়েন। তবে দলীয় ১১৩ রানে উইলিয়ামসন ৫৪ রান করে আউট হন। এরপর দীপক হুদা ৫ রান করে আউট হলে ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব।

সাকিব যখন মাঠে নামেন তখন হায়দরাবাদের প্রয়োজন ছিল ২০ বলে ৬১ রান। জয়ের আশা তখনই অনেকটা ছেড়ে দিয়েছে হায়দরাবাদ। শেষ ওভারে যখন দরকার ৩৩ রান, তখন অশ্বিনের ওভারে পরপর দুটি বলে ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। ১২ বলে ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন, ম্যাচে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইকরেটের জন্য পুরস্কারও পেয়েছেন। সেটা অবশ্য সান্ত্বনা ছাড়া আর কিছু দিতে পারেনি। ৪ উইকেট হারিয়ে সাকিবদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৮ রান, ম্যাচটা হেরে গেছে ১৫ রানে।

 

বিজ্ঞাপন

সারবাংলা/এসএন/ এএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন