বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার ৬৫, পাঁচ দিনের রিমান্ডে ৩৮ বিএনপি নেতা-কর্মী

November 15, 2018 | 7:52 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রির তৃতীয় দিনে নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যলয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের নাশকতার তিন মামলায় ৩৮ আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে অপর ২৭ আসামির রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ৩ কার্যদিবস জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী শুনানি শেষে  এ আদেশ।

মামলা তিনটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুজন কুমার তালুকদার, শেখ মো. জসিম উদ্দিন এবং কাজী আশরাফুল হক রিমান্ডকৃত আসামিদের ৭ ও ১০  দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।

বিজ্ঞাপন

এদিন আসামি পক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ আরও অনেকেই রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন।

রিমান্ডকৃত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা মশিউর রহমান, ছাত্রদল নেতা উৎপল সরকার, কেন্দ্রীয় বিএনপির কমিটি প্রার্থী সুফিয়ান, জাকির হোসেন, হানিফ উদ্দিন ওরফে রানা, ঢাবির মহসিন হল শাখা ছাত্রদল নেতা মাহবুব মিয়া, সাবেক ছাত্রদল নেতা মনোজ সরকার, নেত্রকোণা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট খালিদ সাইফুল্লাহ, ছাত্রদল নেতা ফাহিম হোসেন, আনিসুর রহমান, ছাত্রদলের সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. আতিকুর রহমান তালুকদার, মাইনুল হাসান মোহন, আনোয়ারুল হক ও মোহাম্মদ সুরুজ মন্ডল সহ ৩৮ জন।

জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ হওয়া আসামিরা হলেন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা. নিজাম উদ্দিন, ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার হারুন অর রশিদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সরকার বিষয়ক সম্পাদক আনিছুজ্জামান খান বাবু,  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাহারুল আলম বাহার, বিএনপির সক্রিয় কর্মী আলমগীর হোসেন, সোনাগাজী পৌর বিএনপির সভাপতি হোসেন আহম্মদ, বিএনপির সক্রিয় কর্মী তারিকুল ইসলাম, বালিয়াকান্দার যুবদলের সহ-সভাপতি আরিফুজ্জামান, খায়রুল কবির কাজল, বিএনপির সক্রিয়কর্মী মুসা আহম্মেদ, আবু বক্কও সিদ্দিক, এসএম নাজমুল হোসেন, মাসুদ রানা, কেএম তারিকুল ইসলাম আরিফ, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে শামীম, রকিব আল মান্নান , সাইফুল আলম গজনবী চয়ন, ছাত্রদল নেতা মোঃ মোখসেদ আলম জুয়েল , নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদল সভাপতি ফরিদ হোসেন বাবু, জামায়াতের রোকন জাহিদুল ইসলাম মামুন, ছাত্রদল নেতা মো. রুবেল বেপারী, নাগরপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহব্বায়ক ইকবাল কবির, ২৭নং ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান লিপু, দারুসসালাম  থানার ৯ নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন স্বপন, চাঁদপুর জেলার মতলব থানা থানার কাদেরগাঁও ইউনিয়নের বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক মো. জিলানী তালুকদার, কাদেরগাঁও ইউনিয়ন যুবদলের এর যুগ্ম আহব্বায়ক মো. লিটন মজুমদার  ও বিএনপি সদস্য মো. সোহাগ ।

বিজ্ঞাপন

তদন্ত কর্মকর্তার রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের জন্য বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত করা হয়। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জারিকৃত নির্বাচন আচরণবিধিতে ব্যান্ডপার্টি, ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শো-ডাউন করার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিএনপি নেত্রী আফরোজা আব্বাস এর নেতৃত্বে একটি মিছিল ফকিরাপুলের দিক হতে ব্যান্ডপার্টি, ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শো-ডাউন করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে।  তারা নয়াপল্টনে ভিআইপি রোড বন্ধ করে মিছিল ও শো-ডাউন করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ও জন দুর্ভোগ সৃষ্টি না করার জন্য তাদের রাস্তার এক লেন ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়। তাদের নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি বিএনপি অফিসে অবস্থানরত রুহুল কবীর রিজভীসহ অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়। বিএনপি কর্মীরা কয়েকটি গাড়িতে ককটেলও নিক্ষেপ করে। এ সময় তারা ৬০ লাখ টাকার একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে ক্ষতিসাধণ করে।

প্রসঙ্গ,  মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় বুধবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় বুধবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন থানায় পৃথক তিনটি মামলা করে।

সারাবাংলা/এআই/এটি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন