বিজ্ঞাপন

ঘরে বসেই মিলবে সব সরকারি সেবা

April 12, 2018 | 8:16 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক পরিকল্পনা আছে। দেশের সরকারি যত সেবা আছে, তা দেশের সকল মানুষের হাতের মধ্যে পৌঁছে দেবো, ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবো। দেশের মানুষকে আর সরকারি দফতরে আসতে হবে না। এটাই হচ্ছে আমাদের স্বপ্ন। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন।

বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কবরী হলে সরকারি তথ্য ও সেবা প্রদানে এবং সামাজিক সমস্যার প্রতিকারে কল সেন্টার ৩৩৩ (ট্রিপল-থ্রি) উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ‘সরকারি তথ্য ও সেবা সবসময়’ শ্লোগানকে সামনে নিয়ে কল সেন্টার ৩৩৩ চালু হল।

‘ট্রিপল থ্রি’ সেবার উদ্বোধন করলেন সজীব ওয়াজেদ জয়

বিজ্ঞাপন

এখন থেকে সরকারি বিভিন্ন তথ্য সেবা, কর্মকর্তাদের তথ্য, বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার প্রতিকার এবং পর্যটন ও জেলা সম্পর্কিত যে কোনো তথ্য যে কোনো সময় দেশ ও দেশের বাইরে থেকে ট্রিপল থ্রি’তে ফোন করে নিতে পারবে।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, দেশকে এগিয়ে নেওয়াই হচ্ছে আমাদের আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশ্য। এটা আমরা ধীরে ধীরে সময় নিয়ে করতে রাজি না। আমাদের স্বপ্ন ছিলো, আমরা দেশবাসীকে ওয়াদা করেছিলাম। আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তার ১৫ বছরের মধ্যেই আমরা দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবো। সেটা আমরা ২০২১ সালের কয়েক বছর আগেই করে ফেলেছি।

বিজ্ঞাপন

জয় বলেন, আজকে বাংলাদেশ আর দারিদ্র দেশ নেই। আমাদের যে টার্গেট ছিলো তার থেকে তিন চার বছর আগেই আমরা করে ফেলেছি। কারণ আমরা কাজের গতিতে বিশ্বাস করি। এখন আমাদের স্বপ্ন আছে যে, বাংলাদেশকে একটা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবো। আমরা টার্গেট নিয়েছি ২০৪১ সালে। তবে আশা আছে তার আগেই হয়ে যাবে। যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে।

এই গতিতে কাজ করতে গেলে অনেক সমস্যাও দেখা দেয়। অনেক চ্যালেঞ্জস আসে। চ্যালেঞ্জেগুলো ওভারকাম করতে হয়। আমরা মনে করি, এটা আমাদের দায়িত্ব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সম্প্রতি ফোরজি চালু করা নিয়ে চ্যালেঞ্জগুলোর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা জয়ের প্রশংসা করেন। এ বিষয়ে জয় বলেন, আজকাল ডিজিটাল বাংলাদেশের যুগ। আমি বাংলাদেশে ছিলাম না। তবে প্রতিমমুহূর্তে ওয়াশিংটন ডিসিতে বসে আমি ই-মেইল ও এসএমসে যোগাযোগে ছিলাম। কাজ যাতে স্থগিত না থাকে। দেশ যাতে আগাতে (এগিয়ে) থাকে। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।

জয় বলেন, কাজের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের মানুষের সেবা করা। দেশের মানুষের জীবনের উন্নয়ন করা। আর এটা শুধু যাদের হাতে মোবাইল আছে কম্পিউটার আছে শুধু তাদের জন্য না। এটা হচ্ছে, দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনের উন্নয়নে পরিবর্তন আনা, দারিদ্রমুক্ত করা, ক্ষুধামুক্ত করা, সকলকে শিক্ষা দেওয়া, সকলের আয় বাড়ানো। দেশের প্রতিটি গ্রামের মানুষ যাতে সরকারি সেবা সহজে পায়, সেটাই ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি মূল উদ্দেশ্য।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনিমার্ণে বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে জয় বলেন, সবাই তো সব সেবা, ডিজিটাল সেন্টারে গিয়ে সেই মুহুর্তে নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। হয়ত সময়ও নেই। তাই সেখানে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল, মোবাইল ফোন করে যাতে মানুষ সেই মূহুর্তে সেবা পেতে পারে। তার জন্য আমরা প্রথমে গত ডিসেম্বর মাসে উদ্ধোধন করলাম ৯৯৯ সার্ভিস।

‘তবে তার সাথেও মানুষের তথ্যের প্রয়োজন। আমরা চাই না মানুষ তথ্যের জন্যও এই ৯৯৯ সার্ভিসে কল করুক। কারণ কেউ যদি ৯৯৯ লাইন ব্যস্ত রাখে, যার হয়তো জীবনের একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে, সে যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, তাই ৯৯৯ শুধুমাত্র তাদের জন্যই থাকুক। সে কারণে আমরা এই তথ্য সেবার জন্য ৩৩৩ সার্ভিসটি উদ্ধোধন করছি।’

এটা উদ্ধোধন করে জয় অত্যন্ত গর্বিত ও আনন্দিত বলে উল্লেখ করে ৩৩৩ সেবাটি বাস্তবায়নের কাজে যুক্ত এটুআই ও রবিকে আন্তরিক ধন্যবাদও জানান।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আরও অনেক সেবা আছে। আমাদের আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক পরিকল্পনা আছে যে, দেশের সরকারি যত সেবা, দেশের সব মানুষের হাতের মধ্যে আমরা পৌঁছে দেবো, ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবো। আপনাদের সরকারি দপ্তরে কোনো কারণেই আর আসতে হবে না। এটাই হচ্ছে আমাদের স্বপ্ন। এটাই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন।’

এই ৩৩৩ সার্ভিস হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের আরেকটি ধাপ এগিয়ে গেলাম। বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে থাকবে। আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবো। আওয়ামী লীগকে যতদিন আপনারা ভোট দিয়ে ক্ষমতায় রাখবেন, আমরা এই দ্রুত গতিতেই দেশকে এবং আপনাদের জীবনকে উন্নয়ন করতে থাকবো।

উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্র্যীর মূখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান, রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন। ট্রিপল থ্রি সার্ভিস সম্পর্কে অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রেজেন্টেশন করেন এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী।

সারাবাংলা/এনআর/এমআই

আরও পড়ুন:

‘ট্রিপল থ্রি’ সেবার উদ্বোধন করলেন সজীব ওয়াজেদ জয়

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন