বিজ্ঞাপন

চাল থেকে অজৈব আর্সেনিক অপসারণে বাকৃবি গবেষকদের সাফল্য

October 31, 2018 | 8:42 pm

॥ বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট ॥

বিজ্ঞাপন

ময়মনসিংহ: চাল থেকে অজৈব আর্সেনিক অপসারণে নতুন এক পদ্ধতির কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা।

ধান সিদ্ধ করার প্রচলিত পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন ঘটিয়ে বিকল্প পদ্ধতিতে ধান থেকে আর্সেনিক অপসারণ করা সম্ভব বলে মনে করছেন তারা। আর এ পদ্ধতিতে চালে বিদ্যমান অজৈব আর্সেনিকের ৬৮ ভাগ পর্যন্ত অপসারণ করা সম্ভব বলে দাবি গবেষকদের।

বুধবার (৩১ অক্টোবর) ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে ‘রিমুভিং ইনঅরগানিক আর্সেনিক ফরম রাইস’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা জানান গবেষণা প্রকল্পের প্রধান অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন সুমন।

বিজ্ঞাপন

ড. মাহমুদ বলেন, ‘বিকল্প এ পদ্ধতির প্রথমেই ধান পানিতে ভিজানোর পূর্বে হাস্কিং মেশিনের সাহায্যে ধানের উপরের খোসা অপসারণ (হাস্ক) করা হয়। এরপর ওই শস্যকে ১২ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ১০ মিনিট দ্বিগুন পরিমাণ ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করে রোদে শুকানো হয়। তারপর পলিশিং এর মাধ্যমে ধানের কুঁড়া অপসারণ করা হয়। এ পদ্ধতির মাধ্যমে জাত ভেদে চালের শতকরা ৬৮ ভাগ পর্যন্ত অজৈব আর্সেনিক অপসারণ সম্ভব।’

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের প্রধান শস্য জাতীয় ফসল চাল। কারণ বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্যই ভাত। কিন্তু চালে আর্সেনিকের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ।

বিজ্ঞাপন

গবেষণা করে দেখা গেছে, বাংলাদেশে উৎপাদিত চালে প্রায় শতকার ৮০-৯০ ভাগ অজৈব আর্সেনিকের উপস্থিত রয়েছে। ধান চাষের সময় সেচের জন্য ব্যবহৃত ভূগর্ভস্থ পানি এই অর্সেনিকের উৎস। আর এই অজৈব আর্সেনিক মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি শরীরের মধ্যে প্রবেশ করলে ত্বক, লিভার ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ। আর দীর্ঘ গবেষণায় দেশে উৎপাদিত চাল থেকে এই আর্সেনিক অপসারণে সফলতা পেয়েছেন বাকৃবির একদল গবেষক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আবেদীনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জহির উদ্দিন, বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক অধ্যাপক ড. এম এ এম ইয়াহিয়া খন্দকার।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরআই/ইএইচটি/একে

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন