বিজ্ঞাপন

চিনে রাখুন বিশ্বকাপের জার্সিগুলো

May 27, 2018 | 3:06 pm

সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

রাশিয়া বিশ্বকাপের আর অল্প দিন বাকি। ১৪ জুন রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে পর্দা উঠবে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফুটবলের এই মহা আসরের। ১৫ জুলাই একই ভেন্যুতে ফাইনালের মাধ্যমে বিশ্বসেরা দল চূড়ান্ত হবে। ৩২ দল সারছে তাদের পূর্ব প্রস্তুতি। এখন অপেক্ষা মাঠের লড়াই শুরুর।

২১তম বিশ্বকাপের আসরে ১২টি দলের জার্সিই তৈরি করছে অ্যাডিডাস। ১০ দলের জার্সি তৈরি করেছে নাইকি। তিন দেশের জার্সি তৈরির দায়িত্বে ছিল পুমা। দুটি করে দলের জার্সি বানিয়ে দিয়েছে আমব্রো ও নিউ ব্যালেন্স। একটি করে দেশের জার্সি তৈরি করেছে হামেল, ইরিয়া এবং ইউএইচএল স্পোর্ট।

বিজ্ঞাপন

জার্সি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ছিল দেশগুলোর গৌরবের সময়কাল মাথায় রেখে জার্সির নকশা করার নির্দেশ। আর্জেন্টিনা-স্পেন-ব্রাজিল-জার্মানি-ইংল্যান্ড-ফ্রান্স-বেলজিয়ামের জাতিগত ঐতিহ্যও তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে জার্সিতে। ৩২ দলের অফিসিয়াল জার্সি উন্মোচিত হয়ে গেছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কাদের জার্সি কেমন হলো:

গ্রুপ ‘এ’


রাশিয়া: আয়োজক দেশটি মাঠে লাল রঙের জার্সি পরে খেলবে। ২০০২ বিশ্বকাপে এই জার্সি পরেই ব্রাজিলকে হারিয়েছিল রাশিয়া। ১৯৮৮ সালের অলিম্পিকে বীরত্ব স্মরণে স্বাগতিক দেশটি লাল রঙের জার্সি ব্যবহার করবে। দুই কাঁধে একটু বাঁকানো তিনটি সাদা স্ট্রাইপ থাকবে। বলা হচ্ছে, এটা দেশটির বৈশিষ্ট্য এবং অসংখ্য শহরের প্রতীক।

মিশর: মোহামেদ সালাহদের জার্সি সম্পূর্ণ লাল। কলারে এবং দুই হাতায় কালো রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। তবে, কাছ থেকে দেখলে লালের মাঝেই ছোটো ছোটো খোপ দৃশ্যমান হবে। ১৯৯০ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা পেয়েছে আফ্রিকার দেশ মিশর।

উরুগুয়ে: প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী দেশ উরুগুয়ের আকাশী নীল রঙের জার্সির সামনে দেশটির একটি স্মৃতিস্তম্ভের নকশা আঁকা আছে। তার উপরে চারটি তারকা চিহ্ন রয়েছে। কলারে রাখা হয়েছে কালো রঙ।

সৌদি আরব: ১১ বছর পর বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। রাশিয়া বিশ্বকাপে তাদের দেখা যাবে পুরোপুরি সাদা রঙের জার্সিতে। তবে, কলারে থাকবে উজ্জ্বল সবুজের স্ট্রাইপ।

গ্রুপ ‘বি’

স্পেন: সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জার্সিতে এবার দেখা মিলবে ১৯৯০ বিশ্বকাপের ছবি। স্পেনের জার্সিতে ১৯৯৪-এর ছাপও থাকবে। লাল রঙের এই জার্সির ডানপাশের কাঁধ থেকে নিচ পর্যন্ত একটা নকশা আছে।

পর্তুগাল: রোনালদোর দলের জার্সিতে বিশেষ কিছুই নেই। ইউরো জয়ীদের মেরুন রঙের জার্সির কলারে সবুজ ব্যবহৃত হয়েছে।

ইরান: এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে সর্বপ্রথম দল হিসেবে এবারের বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা দল ইরান। আট বছর অপেক্ষার পর ২০১৪ সালে দেশটি বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকিট নিশ্চিত করেছিল। এবার এশিয়ার পরাশক্তি হিসেবে বাছাইপর্বে ছিল অপরাজিত। দেশটির জার্সি হবে সাদা, কলারে এবং হাতে থাকছে লালের স্ট্রাইপ। আর কাঁধে থাকছে তিনটি লাল স্ট্রাইপ।

মরোক্কো: নিজেদের ইতিহাসের পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে মরক্কো। লাল রঙের জার্সিতে দেখা যাবে তাদের। কলারে এবং হাতায় থাকবে সাদা রঙ।

বিজ্ঞাপন

গ্রুপ ‘সি’

ফ্রান্স: ফ্রান্সের নীল রঙের জার্সিতে এবার উঠে আসবে তাদের দেশপ্রেম। তবে, গ্রিজম্যান-পল পগবা-দেম্বেলে-এমবাপ্পেদের অনুশীলন জার্সির রঙ হবে সাদা। সেখানে লেখা আছে, ‘বৈচিত্র্য আমাদের এক করে।’

পেরু: পেরুর জার্সিতে বিশেষ কিছু নেই। তবে দলটির ঐতিহ্যবাহী লাল রঙের লাইনটি ঠিকই আছে।

অস্ট্রেলিয়া: ক্যাঙ্গারুদের বিশ্বকাপ জার্সি হচ্ছে হলুদ রঙের। দুই হাতে রয়েছে ডোরাকাটা কালো রঙের স্ট্রাইপ, কলারে থাকছে কালো রঙ। আর বুকে রয়েছে দেশটির ঐতিহ্যগত ক্যাঙ্গারুর ছবি।

ডেনমার্ক: লাল রঙের জার্সিতে ডেনমার্ক খেলবে। কাঁধের উপরে রয়েছে গাঢ় লাল। দুই পাশে থাকছে চারটি করে সাদা স্ট্রাইপ।

গ্রুপ ‘ডি’

আর্জেন্টিনা: লিওনেল মেসিদের সেই বিখ্যাত আকাশি নীল-সাদা স্ট্রাইপের জার্সিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। তারা এই জার্সিতে সম্মান জানাতে চায় আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ১২৫ বছরের অবদানকে। এই জার্সি গায়েই অধরা শিরোপা ছুঁতে চান মেসি।

নাইজেরিয়া: ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রচেষ্টার স্মরণে নাইজেরিয়া সে সময়ের জার্সি থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছে। সবুজ রঙের মাঝে সাদার প্যাটার্ন ও দুই হাতের অংশে সাদার মাঝে কালোর প্যাটার্ন দিয়ে তৈরি হয়েছে নাইজেরিয়ানদের জার্সি।

আইসল্যান্ড: প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা পেয়েছে আইসল্যান্ড। তাদের জার্সিতে থাকছে নীলের আধিক্য। তবে, দুই পাশের হাতে থাকছে ছোপ ছোপ মেরুন রঙ। কলারে থাকছে সাদা।

ক্রোয়েশিয়া: দেশটির জার্সিতে থাকছে লাল-সাদার আধিক্য। জার্সির নম্বরটিও একটু ভিন্ন আঙ্গিকে রেখেছে ক্রোয়েশিয়ানরা।

গ্রুপ ‘ই’

ব্রাজিল: সেই ১৯৫৪ সাল থেকেই হলুদ রঙের হোম জার্সি ব্যবহার করে আসছে ব্রাজিল দল। বিশ্বকাপের সফলতম দল ব্রাজিল ১৯৭০ সালে নিজেদের বিশ্বকাপ দলের আদলে তৈরি করেছে এবারের জার্সি। ৪৮ বছর আগের সেই সফলতার স্মৃতি মনে করিয়ে ভক্তদের আবেগতাড়িত করা এবং দলটিকে অনুপ্রেরণা যোগানো এই জার্সি তৈরির লক্ষ্য। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ফেডারেশনের লোগোর উপরে রয়েছে পাঁচটি তারকা চিহ্ন।

সুইজারল্যান্ড: নিজেদের লাল রঙের জার্সিতে দেশ ও তাদের পর্বতময় অঞ্চলের গৌরব ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে সুইজারল্যান্ড। তবে কলারটি সাদা রঙের, ভি-আকৃতির। পর্বতের ছাপ ফুটিয়ে তলা হয়েছে জার্সি জুড়ে সাদা লাইনে।

সার্বিয়া: সার্বিয়ার লাল রঙের জার্সির দুইপাশে একটি করে সাদা লাইন ব্যবহৃত হয়েছে। লাল জার্সির কলারে রাখা হয়েছে সাদা।

কোস্টারিকা: কোস্টারিকানদের জার্সি লাল। তবে, পুরোপুরি লাল নয়। লালের মাঝেই রয়েছে বাঁকানো চিকন দাগ। কলারে রয়েছে সাদা, ঘাঁড়েও থাকছে সাদা রঙ।

গ্রুপ ‘এফ’

জার্মানি: বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জার্মানির ১৯৯০ সালের সফল টুর্নামেন্টের প্রতি শ্রদ্ধা ফুটে উঠেছে এবারের জার্সিতে। সাদা জার্সির বুকের অংশে কালো রঙের নকশা রয়েছে। মাঝখানে রয়েছে শেষ বিশ্বকাপ জয়ী দলের ব্যাজ।

সুইডেন: সুইডেন তাদের ১৯৮৮ সালের জার্সির প্রতি সম্মান দেখিয়ে হলুদের সাথে কলারে নীল রঙ ব্যবহার করে তৈরি জার্সি পড়বে।

মেক্সিকো: ১৯৯০ সালের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত মেক্সিকোর জার্সিতে দুই কাঁধে তিনটি করে সাদা স্ট্রাইপ থাকবে। পেটের পাশ দিয়ে রয়েছে সবুজাভ।

দক্ষিণ কোরিয়া: এশিয়ার একমাত্র দল হিসেবে ১০টি বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। রাশিয়া বিশ্বকাপে কোরিয়ানদের দেখা যাবে লাল জার্সিতে।

বিজ্ঞাপন

গ্রুপ ‘জি’

ইংল্যান্ড: ইংলিশরা বিশ্বকাপে খেলবে সাদা জার্সি ও নেভি ব্লু রঙের শর্টস পরে। সাথে থাকবে সাদা রঙের মোজা। থ্রি লায়ন্সদের বুকের এক পাশে থাকবে তিনটি সিংহের ছবি। কলারে চিকন করে থাকবে লাল রঙের স্ট্রাইপ।

বেলজিয়াম: বেলজিয়ামের জার্সি পেছনে ফিরে দেখাচ্ছে ১৯৮৪ সালের ইউরোকে। ১৯৮৪ সালের পর প্রথমবারের মতো বেলজিয়ামকে মেরুন ঘেষা লাল রঙের জার্সি পড়ে খেলতে দেখা যাবে। সামনে রয়েছে হীরার আদলে নকশা।

পানামা: এবারের বিশ্বকাপে নতুন হিসেবে খেলছে দুটি দেশ, পানামা এবং আইসল্যান্ড। কনকাকাফ অঞ্চল থেকে নাম লিখিয়েছে পানামা। তাদের অভিষেক বিশ্বকাপে থাকছে লাল রঙের জার্সি।

তিউনিশিয়া: এবারের বিশ্বকাপে তিউনিশিয়াকে দেখা যাবে সাদা জার্সিতে। তবে, জার্সির দুই পাশে থাকছে লাল রঙের ছোটো ছোটো ছোপ। আর কলার-হাতায় থাকছে লাল।

গ্রুপ ‘এইচ’

কলম্বিয়া: ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের জার্সির আভা ফুটিয়ে তুলেছে কলম্বিয়ানরা। হলুদ রঙের জার্সিতে কাঁধে এবং দুইপাশে দেশটির জাতীয় পতাকার রঙের লাল ও নীল স্ট্রাইপ ব্যবহার করা হয়েছে। আর নীল রঙের অনুশীলন জার্সির কলারে ‘এক অবিচ্ছিন্ন দেশ’ কথাটি খচিত আছে।

জাপান: এশিয়ান জায়ান্টরা খেলবে এই জার্সিতেই। জাপানিজদের জার্সিতে এবার গাঢ় নীল রঙ এবং উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সাদা সাদা ফোঁটা ব্যবহার করা হয়েছে। জাপানের মানুষদের কারিগরি দক্ষতা এবং দেশটির ঐতিহ্যবাহী সেলাই কৌশল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই নকশা বেছে নেয়া হয়েছে। ১৯৯১ সালের জার্সিটি নতুনভাবে উপস্থাপন করেছে জাপান।

সেনেগাল: সেনেগালের সাদা জার্সির হাতা এবং কলারের দুই পাশে সবুজ লাইন ব্যবহার করা হয়েছে। পুরো বুক জুড়ে জার্সির সামনে একটি নকশা সূচিত থাকবে।

পোল্যান্ড: রবার্ট লেভানোডফস্কির দেশ পোল্যান্ড খেলবে সাদা জার্সিতে। তাদের কলারে থাকছে লাল রঙের স্ট্রাইপ।

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন