এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
শাস্ত্রীয় নৃত্যের অন্যতম একটি শাখা মণিপুরী নৃত্য। একে সুপ্রাচীন নৃত্যধারা হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। ভারতের পূর্ব সীমান্ত রাজ্য মণিপুর থেকে মূলত মণিপুরী নৃত্যের উৎপত্তি। এখানে মৈতি নামের অনেক উপজাতির বসবাস ছিলো। মণিপুরের মৈতি উপজাতি সংস্কৃতির একটি বড় অংশ জুড়ে আছে এ নৃত্য। মণিপুরী নৃত্য হিন্দু ধর্ম দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত। সাধারনত কীর্তন, মণিপুরী ভাষা ও ব্রজবুলি মেশানো গানের সঙ্গে এ নৃত্য পরিবেশন করা হয়। মণিপুরীরা অধিকাংশই বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী। তারা অনেক বেশী সহজ, সরল আর কৃপাভক্ত হওয়ায় তাদের নাচও অনেক ভক্তিমূলক। বহু জটিল তাল ব্যবহৃত হয় এ নাচে।
কালের বিবর্তনেও মণিপুরী নৃত্য এই সময়ে এসে হারিয়ে যায়নি বরং সমৃদ্ধ হয়েছে। সে জন্য প্রয়াত নৃত্যগুরু বিপিন সিংহ এর অবদান রয়েছে। তিনি ৬০ বছর ধরে মণিপুরী গীত-নৃত্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছেন। তখনকার সময়ে এটি কেবল ধর্মীয় নৃত্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও সেটাকে সার্বজনীনভাবে মঞ্চের উপযোগী করে তোলেন বিপিন সিংহ।
মণিপুরী নৃত্যে অবদান রাখা গুরু বিপিন সিংহ এর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতি সম্মান জানাতে শিল্পকলা একাডেমীতে ২২ ও ২৩ জুন আয়োজন করা হয় বিশেষ অনুষ্ঠানের। শিল্পকলা একাডেমীর সাথে অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে মনিপুরী নৃত্য সংগঠন ধৃতি নর্তনালয়, ভাবনা, কল্পতরু ও ধ্রুমেল। সারাবাংলা’র পাঠকদের জন্য সেই অনুষ্ঠানের কিছু উল্লেখযোগ্য ছবি থাকছে ফটো ফিচারে। ছবি তুলেছেন স্পেশাল ফটো করেসপন্ডেন্ট আশীষ সেনগুপ্ত।
উদ্বোধনী পর্বে ছিলো মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন
সিলেটের ঘোড়ামারা অঞ্চলের নটপালা সংঘ ও ধ্রুমেল-এর যৌথ পরিবেশনা
ধ্রুমেল ও নটপালা সংঘের অগ্নি বন্ধনা
ঢোল নিয়ে ধ্রুমেল নটপালা সংঘের কসরত
নৃত্য পরিবেশনায় শামীমা হুসেন প্রেমা
বিম্বাবতী দেবী
বিম্বাবতী দেবী
ওয়ার্দা রিহাবের পরিবেশনা, নাচের মুদ্রায় যেন কানাই সেজে আছেন তিনি
বিম্বাবতী দেবী
দুর্গা রূপে বিম্বাবতী দেবী
সুইটি দাস চৌধুরীর পরিবেশনা
সমবেত পরিবেশনা
সারাবাংলা/আরএসও/এএসজি/টিএস