February 20, 2019 | 4:14 pm
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
গত কয়েক দিন ধরে টালিগঞ্জ সিনেমা পাড়ায় অসন্তোষ অবস্থা বিরাজ করছে। প্রতিবাদে ফুঁসে উঠছেন অভিনয়শিল্পী, পরিচালকরা। ঘটনার সূত্রপাত হয় মুক্তির একদিন পর অনিক দত্ত পরিচালিত ‘ভবিষ্যতের ভূত’ ছবি প্রেক্ষাগৃহে থেকে নামিয়ে দেয়ার পর থেকে। নামিয়ে দেয়ার পেছনে সঠিক কোনো কারণও জানা যায়নি। পরিচালক নিজেও জানেন না কেন তার ছবিটি নামিয়ে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক ও রাজনৈতিক স্যাটায়ারধর্মী ‘ভবিষ্যতের ভূত’ ছবিটি মুক্তি পায়। একদিনের মাথায় ছবিটি হল থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। তারপর থেকেই শুরু হয় তীব্র আন্দোলন।
প্রেক্ষাগৃহ থেকে ছবি নামানোর আগে পরিচালক কোন রকম নোটিশ পাননি। ধারণা করা হচ্ছে মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইশারায় চলচ্চিত্রটি হল থেকে নামিয়ে দেয়া হয়েছে।
এর আগে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে অনিক দত্ত বলেছিলেন, ‘এই প্রথমবার দেখলাম কোনো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ছবির পোস্টার নেই, শুধু মূখ্যমন্ত্রীর ছবি।’
অনেকের ধারণা, এই মন্তব্যের জেরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনটা করেছেন।
‘ভবিষ্যতের ভূত’ নামিয়ে দেয়ার বিপক্ষে অন্যান্যদের মতো প্রতিবাদ জানিয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘এটা দুঃখজনক, গর্হিত অপরাধ! ফ্যাসিস্ট প্রবণতা। এখনই এর প্রতিবাদ না-করলে অবস্থা আরও খারাপ হবে। আপনারা বাঁধা দিন, দেশটাকে কলুষিত হতে দেবেন না।’
এদিকে অভিনেত্রী সায়নি ঘোষ মূখ্যমন্ত্রীর দিকে সরাসরি আঙুল তুলে বলেন, ‘কোনো সভ্য দেশে এমনটি হয় না। মূখ্যমন্ত্রীকে যখন সরাসরি প্রশ্ন করা হচ্ছে, কেনো ছবিটি নামিয়ে দেয়া হলো? তখন তিনি বললেন- এটা আমার বিষয় না। এটা যদি তার বিষয় না হয়ে থাকে তাহলে কেনো তিনি অ্যাওয়ার্ড দিচ্ছেন? কেনো শিল্পীদের টাকা দিচ্ছেন? আবার প্রত্যেক শিল্পীকে র্যালিতে হাঁটাচ্ছেন শুটিং বন্ধ করে। ওসব যদি আপনার বিষয় হয়, তাহলে এটাও আপনার বিষয়।’
টালিগঞ্জের প্রাণ পুরুষ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটা শুধু অনীকের ছবি না দেখানোর বিষয় নয়। কোনও শিল্পীই কারও ক্রীতদাস হতে পারে না।’
নির্মাতা অনিক দত্ত ২০১২ সালে ভূতের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করেন। এরপর ২০১৩ সালে বানান আশ্চর্য প্রদীপ এবং ২০১৭ সালে মেঘনাদ বধ রহস্য। ভূতের ভবিষ্যৎ ছবিটি তখন ১০০ দিনে ৩ কোটি টাকা ব্যবসা করে।
সারাবাংলা/আরএসও/পিএম