বিজ্ঞাপন

ছোট মুখে বড় কথা!

February 9, 2018 | 8:44 pm

ডেস্ক রিপোর্ট

বিজ্ঞাপন

সাধারণত আকারেই বোঝা যায়, বললে আওয়াজ কতটা হবে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন এবং এমন কি কানাডা তাদের আকারের কারণেই রাজনৈতিক চরিত্র বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। প্রসঙ্গ যদি হয় ক্ষুদ্র নিউজিল্যান্ড। সম্ভবত এই প্রবাদটিই প্রথম মনে আসবে ‘হাতি ঘোড়া গেল তল, পিঁপড়া বলে কত জল’।

সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় পৃথিবীর বিভিন্ন ভূখণ্ড তলিয়ে যাচ্ছে। ‘বিশ্বের মাথায়’ যখন এটা ‘হেডেক’ হওয়ার কথা তখন ‘হ্যাঙ ওভার’ নিয়ে নির্লিপ্ত ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রকাণ্ড ভূখণ্ডের অধিপতিরা।

সুসংবাদ হলো বিশ্বে প্রথমবারের মতো এ নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ রিফিউজি ভিসা প্রোগ্রাম’ চালু করার কথা ভাবছে। কিরিবাসের মতো দ্বীপরাষ্ট্র প্রতিদিনই একটু একটু তলিয়ে যাচ্ছে সাগরের পেটে। যদিও গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড থেকে তাদের সহযোগিতা করার কথা হয়েছিল অনেক আগেই। পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনে যারা বাস্তুহারা হবেন, তাদের অন্য কোথাও সরিয়ে সিদ্ধান্তও হয়েছিল বিশ্বের রথী-মহারথীদের বৈঠকে। যদিও নিউজিল্যান্ড এখনও ঠিক করতে পারেনি রাজনৈতিকভাবে কিভাবে তারা এই ভিসা প্রকল্প দেশটির নাগরিক এবং বিরোধী দলীয়দের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলবে।

বিজ্ঞাপন

তবে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। দেশটির ৪০তম প্রাইম মিনিস্টার জেসিন্ডা আরডার্ন এই বিশ্ব সংকট নিয়ে অন্তত প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি বিষয়টিকে এভাবে দেখছি, এটা আমার ব্যক্তিগত এবং জাতীয় দায়িত্ব আমাদের দিক থেকে কিছু একটা করা। অবশ্যই এটা ছেলের হাতের মোয়া না শরণার্থীদের একটি দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের বন্দোবস্ত করে দেওয়া, যেখানে ভূখণ্ড আমাদের একটি বড় সীমাবদ্ধতা। কিরিবাস এবং তাভুলুতে এক লাখ বাড়ি রয়েছে। ইতোমধ্যে ফিজি তাদের নাগরিকদের স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করতে শুরু করেছে। কিন্তু ১১টি প্রধান দ্বীপগুলো চেষ্টা করে যাচ্ছে ভবিষ্যৎ বছরগুলোতে কিভাবে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে টিকে থাকা যায়।

উপকূলীয় এলাকায় কেবল বাসবাস সংকট নিয়েই চলছে আলোচনা। আরও রয়েছে ঝড়-জলচ্ছ্বাস ঝুঁকি বেড়ে চলছে বিশেষত ছোট ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোতে- যা নিয়ে কোনো আলোচনা এখনও এজেন্ডায় আসেনি।

নিউজিল্যান্ডের জন্যও এসব প্রতিবন্ধকতা খুবই প্রাসঙ্গিক। তবে তাদের দৃষ্টিতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্দেশ্য প্রতিটি দেশ যেন বুঝতে পারে বিশ্বের এই সংকট এড়ানোর নৈতিক অধিকার কারও নেই। প্রত্যেকেরই দায় রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন