বিজ্ঞাপন

জবিতে শিক্ষক অপসারণ প্রত্যাহা‌রের দাবিতে প্রধান ফটকে তালা

May 3, 2018 | 1:27 pm

।। জবি করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: জ‌গন্নাথ বিশ্ববিদ্যাল‌য়ের (জ‌বি) ইং‌রে‌জি বিভা‌গের সহ‌যোগী অধ্যাপক না‌সির উদ্দিন আহ‌মে‌দের অপসারণ প্রত্যাহা‌রের দা‌বি‌তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্প‌তিবার (৩ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যাল‌য়ের প্রধান গে‌ট আটকে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ সময় নাসির উদ্দিনের অপসারণ প্রত্যাহারের দাবিত স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

এদিকে, প্রধান ফটক আটকে রাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের প‌কেট গেট খু‌লে দি‌তে বাধ্য হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থী‌দের আন্দোলনের মুখে অনেক শিক্ষকই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেননি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

পরে ঘটনাস্থলে হাজির হন জ‌বি শিক্ষক সম‌তি‌র সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রকল্যাণ প‌রিচালক অধ্যাপক আবদুল বা‌কি। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থী‌দের উদ্দে‌শে ব‌লেন, ‘তোমা‌দের দা‌বি লি‌খিতভাবে উপাচা‌র্যের কা‌ছে পেশ ক‌রো। তোমরা ক্লা‌সে ফি‌রে যাও। তোমা‌দের দা‌বি মানা না হ‌লে তখন অবস্থান ক‌রো। কিন্তু এভা‌বে নি‌জে‌দের ক্ষ‌তি করো না। এতে বিশ্ববিদ্যাল‌য়ের ভাবমূ‌র্তি ক্ষুন্ন হয়।’

তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা প্রশাসনের কাছে আগেই লিখিত আকারে তাদের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু তাদের সে দাবি মানা হয়নি। বরং নাসির স্যারকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলেন, আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে নাসির স্যারকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরিয়ে নিলে আমরা ক্লাসে ফিরে যাবো।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২০১৬ সালে অধ্যাপক পদে আবেদন করেন না‌সির উদ্দিন আহ‌মেদ । অধ্যাপক পদে আবেদনের শর্ত অনুযায়ী, তার জমা দেওয়া আর্টিকেলে জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং নাসির উদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে নাসির উদ্দিন আহমেদ কর্তৃপক্ষের নিকট কারণ দর্শানোর জবাব দেন। সেই জবাব যথাযথ প্রতীয়মান না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, নাসির উদ্দিন আহমেদ কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রত্যক্ষ সমর্থন দেওয়ায় ষড়যন্ত্র করে ও অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরিচ্যুত করেছে। ওই অপসারণের প্রতিবাদেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন। যদিও শিক্ষার্থীদের এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সারাবাংলা/জরা/আইএ/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন