বিজ্ঞাপন

জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প, এরপর কী হবে?

February 17, 2019 | 12:18 pm

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

ডেমোক্রেটদের অসহযোগিতার কারণে সিনেটের কাছে চেয়েও মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ পাননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতাবলে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। খবর ইউএস টুডের।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে ২৩৪ মাইল দীর্ঘ প্রস্তাবিত এই দেয়াল নির্মাণের বাজেট ধরা হয়েছিল ৫.৭ বিলিয়ন ডলার। জরুরি অবস্থা জারির ফলে ট্রাম্প এর চেয়েও বেশি পরিমাণ অর্থাৎ ৮ বিলিয়ন ডলারের তহবিল জোগাড় করতে সক্ষম হবেন। সামরিক ব্যয়, বাজেয়াপ্ত করা অর্থের তহবিল, অর্থ মন্ত্রণালয় ও প্রতিরক্ষা খাতের ব্যয় থেকে এই অর্থ সংগ্রহ করা যাবে।

ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে ডেমোক্রেটরা। প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে  ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন।

বিজ্ঞাপন

ইতোমধ্যেই, আইনের আশ্রয় নিয়েছে ‘লিবারেল ওয়াচডগ গ্রুপ পাবলিক সিটিজেন’ নামে একটি সংগঠন প্রেসিডেন্টর সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় মামলা জারি করেছেন।

মেক্সিকো সীমান্ত সংলগ্ন ক্যালিফোর্নিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্রেটদের দখলে। সেখানের অ্যাটর্নি জেনারেল জেভিয়ার বেসিরা বলছেন, তারাও একই পথ অনুসরণ করার কথা ভাবছেন।

এদিকে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স জানান, এই ধরনের আইনি বিষয় মোকাবিলায় প্রস্তুত হোয়াইট হাউজ। প্রশাসন সবভাবেই সুপ্রিম কোর্টে লড়বে।

বিজ্ঞাপন

কংগ্রেসেও ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ডেমোক্রেটরা। তাদের নেতৃত্বের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, তারা ছয় পাতার একটি চিঠি পাঠিয়েছে প্রেসিডেন্টকে। ট্রাম্পের নির্বাহী ক্ষমতার ব্যবহার-অপব্যবহার নিয়ে তদন্ত করা হবে।

এছাড়া জরুরি অবস্থা জারির বিষয়টি ভোটে তোলারও চিন্তা রয়েছে আইনপ্রনেতাদের। এতে রিপাবলিকানরা বিব্রত হবে। কারণ প্রেসিডেন্টর দেয়াল নির্মাণ করা সিদ্ধান্ত আমেরিকানদের কাছে তেমন জনপ্রিয় নয়। ফলে তাদের ভোটের হিসেবও করতে হচ্ছে।

সারাবাংলা/এনএইচ

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন