বিজ্ঞাপন

জাতীয় নির্বাচনের পরেই ডাকসু নির্বাচন: অ্যাটর্নি জেনারেল

September 17, 2018 | 4:17 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, সমগ্র জাতি তাকিয়ে আছে জাতীয় নির্বাচনের দিকে। জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন না হলে অন্যান্য নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব হবে না বলে ঢাবি কর্তৃপক্ষ মনে করে। এ কারণে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) অ্যাটর্নি জেনারেল তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে একটি রিট হয়েছিল। ওই রিটের রায়ে আদালতের নির্দেশ পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে গতকালই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেছেন, ২০১৯ সালের মার্চের ভেতরে নির্বাচন করার সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের জাতীয় নির্বাচন চলে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

যেহেতু ভিসি বলেছেন ৩১ মার্চের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন হবে, এই বিষয়টিই আমি আদালতকে অবহিত করেছি। আদালতে বলেছি, এই মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচনের প্রশ্নটিই বড়। যে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা, বিশেষ করে ছাত্রদের নির্বাচনের প্রশ্নে কোনো রকম বিশৃংখলা হলে জাতীয় নির্বাচনে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। জাতীয় নির্বাচনই এখন গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদটি আসায় এবং আমার বক্তব্য শুনে আদালত এই পিটিশনটা আপাতত তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। আদালত খোলার পরে এই আবেদনের শুনানি হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো এই সময় সমগ্র জাতি তাকিয়ে আছে জাতীয় নির্বাচনের দিকে। এখন জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন না হলে অন্যান্য নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব হবে না। সে জন্যই তারা বলেছেন, ৩১ মার্চের মধ্যে নির্বাচন হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘লিভ টু আপিল’ সব সময়ই করতে পারে, এটা নির্বাচন বানচালের জন্য না। এটা করার পেছনে উদ্দেশ্য থাকতে পারে সময় বাড়ানো।

বিজ্ঞাপন

এর আগে আদালত অবমাননার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অসুস্থতা নিয়েও যে এতো রাজনীতি হতে পারে বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম দেখা গেল। পাচঁজন ডাক্তার বলছেন তার (খালেদা জিয়া) অবস্থা আশঙ্কাজনক না। তারপরও সেই রিপোর্টকে গ্রাহ্য না করা, গ্রহণ না করে যারা বক্তব্য দিচ্ছেন- তারা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এসব করছেন।

সরকার তার (খালেদা জিয়া) স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সব সময়ই সচেতন, সব সময়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে দেশের শীর্ষ কয়েকজন ডাক্তার তাকে দেখেছেন। এসব নিয়ে রাজনৈতিকভাবে বক্তব্য দেওয়া অনভিপ্রেত, উদ্দেশ্যমূলক।

সারাবাংলা/এজেডকে/এটি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন