বিজ্ঞাপন

জামায়াত-হেফাজতকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি

October 23, 2018 | 1:40 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: জামায়াত, হেফাজতে ইসলাম ও যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। একইসঙ্গে সংগঠনের পক্ষ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য করতে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়েছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে তার কার্যালয়ে মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সকালে এক বৈঠক শেষে সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার কবির সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

 শাহরিয়ার কবির বলেন, শুধু জামায়াতে ইসলামী নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, জঙ্গী, সন্ত্রাসী সংগঠনও যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। এক্ষেত্রে হেফাজতে ইসলামও যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, তারা যে সন্ত্রাসী সংগঠন তা আমরা চ্যালেঞ্জ করতে পারবো।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, আমরা তিনটি দাবি জানিয়েছি, প্রথমত জামায়াতসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোনো দল বা ব্যক্তি যেন নির্বাচনের সুযোগ না পায়। এজন্য প্রার্থীর কাজ থেকে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর নেওয়া, যে তিনি কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, স্বাধীনতা বিরোধী নয়, আদালতের রায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়া বা নির্বাচনের অযোগ্য কোনো দলের সদস্য নয় বা সম্পৃক্ত নয়।

জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে রায়ের ব্যাখ্যায় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, যেহেতু আমি বিষয়টি জানি তাই ব্যাখ্যা দিয়েছি-যে জামায়াতকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করেছে আদালত। তাই জামায়াতের কোনো সদস্য কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। একই সঙ্গে এ দলটির সঙ্গে জোটগতভাবে কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে সে দলও নির্বাচনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এই ব্যাখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে।

ইসির কাছে কমিটির পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ঝুঁকিপূর্ণ সকল নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে হুমকি প্রদানকারীদের শাস্তির আওতায় আনা, জামায়াতের অনুসারীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা ও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দলকে ঘোষণা করতে হবে যে, তাদের সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই; নির্বাচনের সময় মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধানবিরোধী এবং ভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ প্রচারকারীদের শাস্তির আওতায় আনা; ৭১ এর গণহত্যাকারীদের সন্তান বা পরিবারের অন্যান্য সদস্য, যারা সর্বোচ্চ আদালতের রায় অগ্রাহ্য করছে তাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অযোগ্য ঘোষণা এবং সেনা বাহিনীকে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করলে তাদের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলে দাবিতে জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির স্বাক্ষরিত স্মারক লিপিতে আরও জানানো হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের ৯২টি নির্বাচনী এলাকায় সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভোটের সংখ্যা শতকরা ১২ ভাগ থেকে ৪৮ ভাগ পর্যন্ত। যার বেশির ভাগ ঝুঁকিপূর্ণ।
বৈঠকে সিইসির সঙ্গে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত রয়েছেন।

সারাবাংলা/জিএস/একে

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন