বিজ্ঞাপন

জামিন জালিয়াতি, মামলার তদবিরকারীকে হাইকোর্টে তলব

May 23, 2018 | 8:04 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: গাজীপুরে ১০ বছরের শিশু ধর্ষণের মামলায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া আসামি বিল্লাল ভূঁইয়ার জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলার তদবিরকারী মো. রবিউল ইসলামকে আগামী ২৭ মে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৩ মে) এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানির সময় বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল।

বিজ্ঞাপন

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর উপজেলার শ্রীপুরের রাজাবাড়ী ইউনিয়নের চিনাশুখানিয়া গ্রামে ১০ বছরের শিশুকে ঘর ঝাড়ু দেওয়ার কথা বলে প্রবাস ফেরত প্রতিবেশী বিল্লাল ভূঁইয়া (৪৫) ধর্ষণ করে।

ধর্ষক বিল্লাল ভূঁইয়া একই গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে। তার স্ত্রী ও ছেলে বিদেশে থাকে। এ ঘটনা যেন কাউকে না জানানো হয়, সে জন্য শিশুটিকে হুমকি দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়। এক পর্যায়ে মেয়েটি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে শিশুটি তার মা’কে ধর্ষণের ঘটনা জানায়।

পরে বিল্লাল ভূঁইয়া (৪৫), তার ভাই দুলাল ভূঁইয়ার ছেলে রুবেল ভূঁইয়া (২২) ও মৃত তাজউদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়াকে (৪৫) আসামি করে মামলা করেন মেয়েটির মা।

বিজ্ঞাপন

আইনজীবী জাহিদ সরওয়ার কাজল বলেন, শুরু থেকে বিল্লাল পলাতক ছিল। এর মধ্যে মেডিকেল প্রতিবেদনে ধর্ষণের প্রমাণও মিলেছে। পরে ১৭ নভেম্বর এ মামলায় চার্জশিট দেয় পুলিশ। মামলাটি এখন সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে আছে।

এ অবস্থায় চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি আত্মসমর্পণ করে বিল্লাল। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে ২৪ এপ্রিল জামিন আবেদন করে বিল্লাল। ওই আবেদন খারিজ করে দেন গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। এরপরে আসামি বিল্লাল গত ৯ মে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানায়।

জামিন আবেদনে বলা হয়, মেয়েটির বয়স ২১। দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। মেয়েটি মা এই সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি নন। আবেদনে আরো বলা হয়, ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং মেডিকেল সনদে তার কোনো প্রমাণ নেই। এ কারণে হাইকোর্ট তাকে জামিনও দেন।

হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের এই আদেশ নিম্ন আদালতে যাওয়ার পর তথ্য গোপনের জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। তখনই বিষয়টি উচ্চ আদালতকে অবহিত করা হয়। হাইকোর্ট সঙ্গে সঙ্গে তার জামিন বাতিল করেন এবং তদবিরকারীকে তলব করে আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

গাজীপুর সদরের রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার নয়নপুর গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে মো. রবিউল ইসলামকে এ মামলায় তদবিরকারী দেখানো হয়েছে জানিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল বলেন, আবেদনকারী আইনজীবী হিসেবে দেখানো হয়েছে মো. জামাল উদ্দিনকে। কিন্তু জামাল উদ্দিনের যে আইডি দেখানো হয়েছে, সেই আইডিতে আসল আইনজীবী হলেন মো. হারুন অর রশীদ।

সারাবাংলা/এজেডকে/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন