বিজ্ঞাপন

জিয়ার কবরে খালেদার শ্রদ্ধা

January 19, 2018 | 12:36 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শের-ই বাংলা নগরে তার  কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

শুক্রবার সকাল সোয়া ১১টায় দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জিয়ার কবরে ফুল দেন তিনি। এ সময় ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে শরিক হন খালেদা জিয়া।

তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্সে খালেদা জিয়া পৌঁছনোর আগেই বিএনপির বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী, সমর্থক সেখানে জড়ো হন। তারা জিয়ার নামে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন সমাধি কমপ্লেক্স।

খালেদা জিয়া ফুল দেওয়ার পর একে একে জাতীয়তাবাদী যুবদল, মহিলাদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, মুক্তিযোদ্ধাদল, কৃষকদল, তাঁতীদল, মৎস্যজীবীদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল, তৃণমূলদল, ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব), মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মসহ বিএনপিপন্থী বিভিন্ন সংগঠন জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশ আজ নানামুখী রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে আছে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে গণতন্ত্র দিয়েছিলেন, সেই গণতন্ত্র আজ অবরুদ্ধ। মানুষের বাকস্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। কথা বলার অধিকার, ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের জন্মদিনে আমরা শপথ নিয়েছি হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের।’

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন কমিশনকে ‘ব্যর্থ’ কমিশন আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন করার আগে যে সকল প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, তা না নিয়েই  ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল কমিশন। এতেই প্রমাণিত হয় নির্বাচন কমিশনে যারা রয়েছেন তারা যোগ্য নন।

‘তারা (কমিশন) জানত এ নির্বাচন দিলে বিএনপি প্রার্থী জয়ী হবে। তাই আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগসাযোশে ডিএনসিসি নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে’— বলেন ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের আগেও আমাদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি। পরে তারাই কথা বলতে বাধ্য হয়েছিল। জাতি জানে, সত্য কী। আলোচনা, সমঝোতা ও সকল দলের জন্য সমান নির্বাচনী মাঠ করা না হলে জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।’

জিয়াউর রহমানের জন্মদিন ঘিরে তার সমাধি কমপ্লেক্সে বিএনপির ব্যাপক শো-ডাউন মাথায় রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সাময়িক সময়ের জন্য বিজয় সরণিতে সাধারণের চলাচল সীমিত করা হয়। চন্দ্রিমা উদ্যানে ঢোকার মূল পথ বন্ধ করে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের দেয়াল ঘেষা ‘পকেট পথ’ বিএনপি নেতা-কর্মী সমর্থকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তবে খালেদা জিয়াসহ দলটির শীর্ষ নেতারা মূল পথ দিয়েই ঢোকেন জিয়াউর রহমানে সমাধি কমপ্লেক্সে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসআর/এজেড/আইজেকে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন