বিজ্ঞাপন

জুঁইকে শ্বাসরোধ ও ইনজেকশন দিয়ে হত্যা করা হয়

October 21, 2018 | 10:01 pm

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

নারায়ণগঞ্জ: অপহরণের পর উম্মে তাবাসসুম জুঁইকে শ্বাসরোধ ও ইনজেকশন দিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যায় জড়িত সন্দেহে দুই যুবককে গ্রেফতারের এসব তথ্য উঠে আসে।

রোববার (২১ অক্টোবর) দুপুরে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ দলডাঙ্গা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। এরা হলেন, দক্ষিণ দলডাঙ্গা এলাকার সমেদ আলীর ছেলে শাহজালাল (১৮) ও জহর আলীর ছেলে আশ্রাফুল (১৯)।

আরও পড়ুন: অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, একদিন পর মিললো শিশুর বস্তাবন্দি লাশ

বিজ্ঞাপন

গত বৃহস্পতিবার আনোয়ার হোসেনের তিন বছর বয়সী মেয়ে উম্মে তাবাসসুম জুঁই নিখোঁজ হয়। এরপর তার কাছে মুক্তিপণের দাবিতে ফোন আসে। অপহরণকারীরা হুমকি দেয়, পুলিশকে জানালে তারা জুঁইকে হত্যা করবে। তবে আনোয়ার হোসেন রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন। পরদিন শুক্রবার টেকপাড়া এলাকায় আনোয়ার হোসেনের বাড়ির পাশে থেকে জুঁইয়ের বস্তাবন্দি মরদেহ পাওয়া যায়। শাহজালাল ও আশ্রাফুল দু’জনই আনোয়ার হোসেনের ভাড়াটিয়া।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, কয়েক দিন আগে তারা পরিকল্পনা করে জুঁইকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করবে। বৃহস্পতিবার যখন জুঁই বাড়ির পাশে খেলছিল তখন তাকে অপহরণ ভাড়া বাসায় নিয়ে মুখে টেপ দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে। জুঁই চিৎকার করার চেষ্টা করলে তারা মুখে পলিথিন টেপে ধরে। এতে শিশুটি অজ্ঞান হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে, জুঁইকে অজ্ঞান করার ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপরই জুঁই মারা যায়।

এদিকে আনোয়ার হোসেনকে মোবাইল ফোনে কল করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে শাহজালাল ও আশ্রাফুল। বৃহস্পতিবার রাতেই ৫ লাখ টাকায় রফা হলে, আনোয়ার হোসেনকে টাকা নিয়ে কমলাপুর রেলওয়ের স্টেশনে যেতে বলে তারা। তারা হুমকি দেয়, পুলিশকে জানালে জুঁইকে মেরে ফেলবে। সে রাতে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বস্তায় ভরে জুঁইয়ের মরদেহ বাড়ির পেছনে ফেলে রেখে শাহজালাল ও আশ্রাফুল পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় শাহজালাল তার আপন ভাই খৈবর আলীকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জানায়।

বিজ্ঞাপন

সন্দেহের ভিত্তিতে শনিবার খৈবর আলীকে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথম ক্লু বেরিয়ে আসে। পরে খৈবুর আলীকে সঙ্গে নিয়ে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের সহযোগিতায় রোববার (২১ অক্টোবর) দুপুরে শাহজালাল ও আশ্রাফুলকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর রহস্যের জট খুলতে শুরু করে।

সারাবাংলা/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন