March 22, 2018 | 5:00 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোঁরায় হামলার মামলায় নব্য জেএমবির শীর্ষ জঙ্গি নেতা হাদিসুর রহমান সাগরের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলামের আদালত দশ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে রিমান্ডের আবেদন করেন।
বুধবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেফতারের পরপরই তাদের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়, হাদিসুর রহমান সাগর গুলশানের হলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন পলাতক আসামি। সে ওই হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ করেছিল বলে পুলিশ তাদের অনুসন্ধানে জানতে পারে। সাগর পুরনো জেএমবির সদস্য।
২০১৪-১৫ সালে তামিম চৌধুরীর হাত ধরে নব্য জেএমবিতে যোগ দেয় সে। নব্য জেএমবিতে সে বোমা তৈরির কারিগর হিসেবেও পরিচিত ছিল।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে কূটনৈতিক এলাকা গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হামলা করে এবং দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে। এ সময় অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন খান নিহত হন। রাতের বিভিন্ন সময় তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জন জিম্মিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা।
পরদিন সকালে যৌথ বাহিনী কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে ছয় হামলাকারী নিহত হয়। জীবিত উদ্ধার করা হয় ১৩ জিম্মিকে।
ওই ঘটনায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা, জাপানি, ইতালি, বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকানসহ ১৮ বিদেশি ও ২ বাংলাদেশি এবং ৬ জঙ্গিসহ ২৮ জন নিহত হন। বর্তমান মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের ঢাকা মহানগর কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
গত বছরের ৪ জুলাই নিহত ৫ জঙ্গিসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে গুলশান থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের ঢাকা মহানগর কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
সারাবাংলা/এআই/এমআই