বিজ্ঞাপন

টাইটানিকের বয়স হলো কুড়ি

December 19, 2017 | 3:47 pm

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

দুই দশক! দিন-রাতের হিসেবে, সময়ের বিচারে নেহায়েত কম নয়। বিশ বছর আগের এই দিনে একটি ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছিলো। মুক্তি পেয়েছিলো হলিউডের সর্বকালের অন্যতম সেরা ছবি ‘টাইটানিক’। জেমস ক্যামেরনের এ ছবিটির দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে সারাবাংলা চোখ ফিরিয়ে, ফ্ল্যাশব্যাকে ডুবে দেখে নিচ্ছে টাইটানিকের সেরা মুহূর্তগুলো।

আই অ্যাম দ্য কিং অব দ্য ওয়ার্ল্ড!

ওই মুহূর্তটা, যখন টাইটানিক বন্দর ছাড়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে। বন্দরে উৎসুক মানুষের ভীড়। ছবির জ্যাক চরিত্রটি, মানে ডি‘ক্যাপ্রিও দু‘টো টিকিট জিতে যায় অকস্মাৎ। জ্যাক তার বন্ধুকে নিয়ে উঠে পড়ে জাহাজে। যদিও তাদের ঠাঁই হয়েছিলো থার্ড-ক্লাস প্যাসেঞ্জার হিসেবে। তবুও তারা যে ইতিহাসের সাক্ষী হতে পারছে, এ উচ্ছ্বাস নিয়ে এক দৌড়ে জ্যাক পৌঁছে যায় টাইটানিকের সর্বোচ্চ চূড়ায়। তারপর অনেকটা শুণ্যে ভাসার মতো করে দু‘হাত দু‘দিকে ছড়িয়ে আনন্দে চিৎকার দেয়। তার মনে হয় ‘আই অ্যাম দ্য কিং অব দ্য ওয়ার্ল্ড’!
এ সংলাপটি জায়গা করে নিয়েছে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত ১০০ বছরের অন্যতম সেরা সংলাপের তালিকায়।

আই অ্যাম ফ্লাইং

রোজের সঙ্গে ততোক্ষণে জ্যাকের কেমিস্ট্রি গাঢ় হয়ে গেছে। রোজকে নিয়ে জ্যাক দাঁড়ায় জাহাজের রেলিংয়ে, যেখানে সৃষ্টি হয়েছিলো ওই মুহূর্তটির ‘আই অ্যাম দ্য কিং অব দ্য ওয়ার্ল্ড’! রোজ ভয় পাচ্ছে। জ্যাক ওকে চোখ বন্ধ করতে বলে। ওর হাত ধরে দু’হাত ছড়িয়ে দেয়। রোজ চোখ খোলে যখন, দৃষ্টি যতোদূর যায় অবারিত বিশাল সমুদ্র দেখে! গভীর মুগ্ধতা নিয়ে রোজ বলে, ‘আই অ্যাম ফ্লাইং!’ এখানেই সৃষ্টি হয় টাইটানিকের সেরা মুহূর্ত, জ্যাক-রোজের প্রথম চুমু!

বিজ্ঞাপন

‘ড্র মি লাইক ওয়ান অব ইয়োর ফ্রেঞ্চ গার্লস’

গল্প চলতে চলতে রোজ একপর্যায়ে আবিষ্কার করে, জ্যাক ছবি আঁকে ভালো। এ প্রতিভায় মুগ্ধ হয় রোজ। জ্যাককে সে অনুরোধ করে তার ছবি আঁকার জন্য। রোজ সোফায় শুয়ে আছে। জ্যাকের ক্যানভাসের আড়ালে ঢাকা পড়েছে তার নগ্ন শরীর। জ্যাকের পেন্সিল এঁকে চলেছে সে অবয়ব। টাইটানিকের অন্যতম সেরা মুহূর্ত এটি।

আই উইল নেভার লেট গো, জ্যাক’

ছবির একেবারে শেষের দিকে। সময়ের বিস্ময় টাইটানিক ডুবে যাচ্ছে! জ্যাক শক্ত করে ধরে রেখেছে রোজের হাত। জীবনের অন্তিম পর্যায়ে দাঁড়িয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি বিনিময় চলে। রোজ শপথ করে, ‘আই উইল নেভার লেট গো, জ্যাক!’ কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ শপথ রাখা আর হয় না! উদ্ধারকারী জাহাজ তাদের নিকটে আসার আগে অবস হয়ে যায় জ্যাকের শরীর। জ্যাক তলিয়ে যেতে থাকে ক্রমেই…।

জ্যাক তলিয়ে গেলেও সেই ট্র্যজেডি এখনো চকচকে। টাইটানিকের বিরহ যেমন দর্শককে কাঁদায় এখনও, সামাজিক ব্যবধান ভেঙ্গে দুটি হৃদয়ের কাছে আসা-ভালোবাসাও তেমনি রোমাঞ্চিত করে। বয়স কুড়ির মাথায় দাঁড়িয়ে তাই বলাই যায়, জেমস ক্যামেরনের টাইটানিক সমান আবেদন নিয়ে টিকে থাকবে আরও বহু যুগ!

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেবিএন/পিএ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন