বিজ্ঞাপন

টাকা আত্মসাৎ, রূপালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তাসহ তিনজনের কারাদণ্ড

October 15, 2018 | 7:45 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: জামানত হিসেবে জাল চেক দিয়ে ৬১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুই যুগ আগের একটি মামলায় রূপালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তাসহ তিনজনকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাদের আত্মসাতের সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা নির্ধারণ করেছেন। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের আরও ৬ মাস করে সাজা ভোগ করতে হবে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মীর মো. রহুল আমিন এই রায় দিয়েছেন।

দণ্ডিতরা হলেন, রূপালী ব্যাংকের চট্টগ্রাম সেনানিবাস শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেন, ঋণগ্রহীতা ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন ও ঋণগ্রহীতার পক্ষে গ্যারান্টার শামসুদ্দিন আজাদ। রূপালী ব্যাংকের তৎকালীন পরিচালক ওয়াহিদুর রহমানের ছেলে আজাদ।

বিজ্ঞাপন

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু সারাবাংলাকে জানান, ১৯৯০ থেকে ৯২ সালের মধ্যে আরিফ হোসেন রূপালী ব্যাংকের চট্টগ্রাম সেনানিবাস শাখা থেকে ৬০ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৩ টাকা ঋণ নেন। ঋণের জামানত হিসেবে সমপরিমাণ টাকার একটি চেক জমা দেন। চেকটি জাল- নিশ্চিত হওয়ার পর রূপালী ব্যাংকের তৎকালীন উপ-মহাব্যবস্থাপক বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় ১৯৯৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৪জনকে আসামি করা হয়।

আসামিদের মধ্যে দণ্ডিত তিনজনসহ রূপালী ব্যাংকের চট্টগ্রাম সেনানিবাস শাখার তৎকালীন জুনিয়র অফিসার মো. নূরুচ্ছফাও ছিলেন। তবে বিচার চলাকালে তিনি মারা যান। পরবর্তীতে তাকে বিচার প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়।

দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, জামানত হিসেবে দেওয়া চেকটি জাল তা জানার পরও গ্রহণ করেন রূপালী ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা। এরপর তারা পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে ঋণ হিসেবে নেওয়া টাকা আত্মসাৎ করেন।

বিজ্ঞাপন

দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রাম ব্যুরো কার্যালয়ের পরিদর্শক দূর্গাদাস রায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন। অভিযোগ গঠনের পর দুদকের পক্ষে ১৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। দণ্ডিত আসামিরা মামলা দায়েরের পর গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরবর্তীতে জামিনে গিয়ে পলাতক হয়ে যান বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন দুদক পিপি।

সারাবাংলা/আরডি/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন