বিজ্ঞাপন

ট্রাম্প-কিম বৈঠক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কিমের ‘ডান হাত’

May 31, 2018 | 6:13 pm

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার প্রধান নেতা কিম জং উনের মধ্যেকার বৈঠক নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র সাথে বৈঠক করেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের ‘ডান হাত’ হিসেবে পরিচিত এক শীর্ষ কর্মকর্তা। এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প-কিম বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (৩১ মে) নিউ ইয়র্কে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চীন থেকে নিউ ইয়র্ক গিয়ে কিমের প্রতিনিধি জেন কিম ইয়ং-চোল পম্পেও’র সঙ্গে নৈশভোজ করেন। গত ২০ বছরে উত্তর কোরিয়ার কূটনীতিকদের যারা যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন, তাদের মধ্যে ইয়ং-চোল সবচেয়ে বেশি বয়সী।

প্রসঙ্গত, আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে কিম জং উন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে গত ২৪ মে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে ১২ জুনের মার্কিন-উত্তর কোরিয়া সম্মেলন বাতিল ঘোষণা করেন ট্রাম্প। অবশ্য এরপরই তিনি আবার জানান, উত্তর কোরিয়ার আগ্রহ থাকলে এই বৈঠক ‘কোনো এক সময়’ হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

জেন কিম ইয়ং-চোল ও মাইক পম্পেও দু’জনেই বৈঠকের আগেরদিন সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘের সদর দফতরের কাছের একটি ভবনে আসেন। এরপর তার সঙ্গে স্টেক, ভুট্টা ও পনির দিয়ে ডিনার করেছেন বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক ‍টুইট বার্তায় জানান। বৈঠকে মার্কিন ও উত্তর কোরিয়ার সম্মেলনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি।

এই বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর করতে গত ২৬ মে চমকপ্রদভাবে দ্বিতীয়বার পানমুনজামের বেসামরিক অঞ্চলে সাক্ষাৎ করেন কোরিয়ার দুই নেতা। কিম ও মুনের মধ্যে দুই ঘণ্টার ওই বৈঠকে ‘মার্কিন-উত্তর কোরিয়া সম্মেলন’ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আলোচনা হয় বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

গত ২৭ এপ্রিল ৬৫ বছর পর প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসেন দুই কোরিয়ার নেতা। ওই বৈঠকের মাধ্যমে শান্তির পথে এগিয়ে যেতে দুই দেশ অঙ্গীকার করে। ঐতিহাসিক ওই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ছাড়াও সম্ভাব্য শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকের আগে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রের কাজ সাময়িক বন্ধের ঘোষণা করেন কিম।

কিম-মুনের বৈঠকের পর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পারমাণবিক পরীক্ষা অঞ্চলের সুরঙ্গ ধ্বংস করে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণের সময়ের সঙ্গে মিল রেখে নিজেদের সময় আধাঘণ্টা এগিয়ে নেয় দেশটি। এর মধ্যে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপদেষ্টা জন বোল্টনের এক বিতর্কিত মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়ে বিবৃতি দেয় উত্তর কোরিয়া। এরপর এই বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এর জের ধরে মার্কিন-উত্তর কোরিয়া সম্মেলন বাতিল ঘোষণা করেন ট্রাম্প।

সারাবাংলা/এমআইএস

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন