বিজ্ঞাপন

‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোটো সে তরী’

August 20, 2018 | 9:19 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঈদুল আজহার ছুটি শুরুর আগে কর্মদিবসের শেষ দিনে অফিস শেষ করেই বাড়ির উদ্দেশে চট্টগ্রাম ছেড়েছেন দেশের নানা প্রান্তের  লাখ লাখ মানুষ। বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে দেখা গেছে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে তিন-চারগুণ বেশি যাত্রী।

ট্রেনের ছাদে তো আছেই, বগির ভেতরে দাঁড়িয়ে, সিটের হাতল-মেঝেতে বসে এমনকি দরজার সামনে ঝুলে, পাদানিতে বসেও মানুষকে বাড়ির উদ্দেশে ছুটতে দেখা গেছে। প্রতিটি ট্রেনেই অস্বাভাবিক ভিড়। ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রীর চাপে চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ছাড়ার পরপর বন্ধ হয়ে যায়। সেটি প্রায় তিনঘণ্টা পর আবার যাত্রা শুরু করে।

সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, ট্রেন প্ল্যাটফর্ম পৌঁছানোর পর হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন হাজার হাজার যাত্রী। দরজা দিয়ে নারীপুরুষ হুড়োহুড়ি করে উঠছেন। অনেকে দরজা পর্যন্ত ভিড়তে না পেরে জানালা দিয়েই ঢুকছেন বগিতে। আবার ফুটওভার ব্রিজ থেকে লাফিয়ে ট্রেনের ছাদে পড়ে আসন নিচ্ছেন অনেকে। পাইপ বেয়ে ট্রেনের ছাদে উঠতেও দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

ঢাকাগামী মহানগর গোধূলী এক্সপ্রেস, চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনসহ আরও কয়েকটিতে এই চিত্র দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে চাঁদপুরগামী ট্রেনগুলোতে।

তবে ভিড় ঠেলেও ট্রেনে উঠতে পেরে স্বস্ত্বির প্রকাশ দেখা গেছে যাত্রীদের চোখেমুখে। নগরীর চকবাজার থেকে যাওয়া গোধূলী এক্সপ্রেসের যাত্রী কামরুল হাসান সারাবাংলাকে বলেন, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকায় ঈদ করতে যাচ্ছি। ট্রেনে এত ভিড় হবে বুঝতে পারিনি। এটা তো একটা অস্বাভাবিক অবস্থা। এভাবে কি যাওয়া যায় ? ট্রেনগুলো ঘন্টা দুয়েক আগে প্ল্যাটফমের্ম আনলে সমস্যা কী ?

বিজ্ঞাপন

গোধূলী ট্রেনে ঢাকা হয়ে গাজীপুরে বাড়িতে ঈদ করতে যাচ্ছেন ইস্টার্ন ক্যাবলসের কর্মচারি মো. তৌহিদ। তিনি সারাবাংলাকে বলেন- অন্যান্যবারের চেয়ে এবার ভিড় অনেক বেশি। তারপরও ঈদটা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে করতে পারব। কষ্ট হলেও এটাই আনন্দ।

ট্রেন ধরার জন্য অনেক যাত্রী যাত্রার সময়ের চার-পাঁচ ঘণ্টা আগেও এসে বসে আছেন।

এদিকে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে। এর একঘণ্টা আগেই ট্রেনটি পূর্ণ হয়ে যায়। কিছুদূর যাবার পর থেমে যায় ট্রেনটি।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের মাস্টার নাজিম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, মেঘনায় ধারণক্ষমতার অনেক বেশি যাত্রী উঠে যায়। এতে ট্রেনটি কিছুদূর পর্যন্ত চলার পর থেমে যায়। ট্রেনটির একটি বগি ড্যামেজ (বিকল) হয়েছে। সেটি বাদ দিয়ে নতুন বগি সংযোজনের পর সোয়া তিন ঘণ্টা দেরিতে যাত্রা করেছে ট্রেনটি।

ট্রেনে অস্বাভাবিক ভিড়, ধারণক্ষমতার তিন-চারগুণ বেশি যাত্রী পরিবহন নিয়ে কথা বলার জন্য রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকসহ অন্তঃত চারজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

সারাবাংলা/আরডি/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন