বিজ্ঞাপন

ডাকযোগেও দেশে আসছে মাদক : সিআইডি

September 11, 2018 | 1:30 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বিদেশ থেকে মাদক আমদানিতে ডাক বিভাগকে ব্যবহার করার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানালেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ডিআইজি মোঃ শাহ্ আলম।

মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির ডিআইজি মো. শাহ আলম।

গত ৯ সেপ্টেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জিপিও বৈদেশিক পার্সেল শাখা থেকে নতুন মাদক নিউ সাইকোট্রফিক সাবসটেনসেস (এনপিএস) বা খাট নামক মাদকদ্রব্যের একটি বড় চালান জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাতে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কেজি খাট ছিল। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৫ হাজার ৪০০ টাকা। এ মাদকগুলো ইথিওপিয়া থেকে দেশের ২০ ঠিকানায় ‘গ্রীন টি’ নামে আমদানী করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে সিআইডি।

বিজ্ঞাপন

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ৯ সেপ্টেম্বর সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রাজীব ফারহানের নেতৃত্বে একটি টিম বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় জিপিও’র বৈদেশিক পার্সেল শাখা থেকে ৯৬টি কার্টন ভর্তি প্রায় ১৬০০ কেজি খাট জব্দ করা হয়। খাটের চালানটি ডাক বিভাগকে ব্যবহার করে ইথিওপিয়া থেকে বাংলাদেশের ২০টি প্রতিষ্ঠানের নামে আসে। সেসব ঠিকানার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে গতকাল ১০ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ডিআইজি শাহ আলম আরও বলেন, মাত্র মামলাটি রুজু করা হয়েছে। এটি প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। আশা করছি তদন্তে এর সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশী চক্রটিকে আমরা সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো। যে ঠিকানাগুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো সঠিক কি না তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যেহেতু এগুলো পোস্ট অফিসের মাধ্যমে এসেছে, কোনো বহনকারী নেই। তবে যারাই জড়িত থাকবে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এবং কাস্টমস খাট জব্দ করেছে। সেই মামলার বিষয়গুলো সিআইডি দেখবে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা প্রয়োজনে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করে কাজ করতে পারব। অপরাধীকে ধরতে সব ধরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

তবে খাট নামের এ মাদকটি কিভাবে সেবন করা হয় বা আর কি কাজে আসে তার সুস্পষ্ট তথ্য না থাকলেও এটি পানিতে গুলিয়ে অথবা চিবিয়ে সেবন করার পাশাপাশি ইয়াবার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় বলেও ধারনা করছে সিআইডি।

সারাবাংলা/এসএইচ/জেএএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন