বিজ্ঞাপন

ডিজিটালে অর্থপাচার হাজার কোটি, ৩ কর্তৃপক্ষকে ডিমান্ড অব জাস্টিস

April 28, 2018 | 12:09 pm

।।বিশেষ সংবাদদাতা।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ফেসবুক, গুগলে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন এবং ইউটিউব, নেটফ্লিক্সে বসানো সাবস্ক্রিপশন প্ল্যাটফর্মের অবৈধ চার্জিংয়ের ফাঁক গলে দেশ থেকে বছরে হাজার কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে নানা সময়ে এসব নিয়ে লেখালেখি হলেও তা গুরুত্ব পাচ্ছে না। ফলে এই অর্থপাচার বেড়েই চলেছে। ২০১৮ সালে এই খাতে লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যার অধিকাংশই বিদেশে চলে যাবে বলে আশংকা সংশ্লিষ্টদের।

এর প্রতিকার চেয়ে তিনটি রাষ্ট্রীয় দফতরে ডিমান্ড অব জাস্টিস নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান। বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) জনস্বার্থে পাঠানো এই ডিমান্ড অব জাস্টিস নোটিশে তিনি এমন অর্থপাচার বন্ধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে এর প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং খাতটিতে টেকসই উন্নয়নের পথে পরিচালিত করতে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ব্যারিস্টার মাহিন উল্লেখ করেছেন এ প্রক্রিয়ায় দেশ থেকে বড় অংকের অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, যা দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থে দ্রুত বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

এ লক্ষ্যেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর যিনি বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টলিজেন্স ইউনিট-এর প্রধান ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে ডিমান্ড অব জাস্টিস নোটিশ পাঠানো হয়েছে। যার অনুলিপি পাঠানো হয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)এর সভাপতির কাছে।

ব্যারিস্টার মাহিন রহমান সারাবাংলাকে বলেন, নোটিশটি তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে পাঠিয়েছেন। তবে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২’র ধারা ২৩ অনুযায়ী এর মূল দায়টি নিতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টলিজেন্স ইউনিটকেই।

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমে একাধিক খবরে আমরা দেখেছি কিছু কিছু সাবস্ক্রিপশন প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশে বিনা পূঁজিতে শত শত কোটি টাকার ব্যবসা করে নিচ্ছে। গুগল, ইউটিউবের ব্যবসা হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে আরও আগেই।

বিজ্ঞাপন

‘ব্যবসা করতে ক্ষতি নেই, কিন্তু তা করতে হবে বৈধ পথে,’ এমন মত দিয়ে তিনি বলেন, ব্যবসা থেকে যে অর্থ এই প্রতিষ্ঠানগুলো পাচ্ছে তার প্রায় সবটাই যাচ্ছে অবৈধ পথে অর্থপাচারের বহুল প্রচলিত ব্যবস্থা হুন্ডির মাধ্যমে। অন্যটি হচ্ছে ক্রেডিট কার্ড চার্জিংয়ের অপব্যবহারের মাধ্যমে।

সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের এই আইনজীবী বলেন, বিষয়টি নিয়ে গভীরে কাজ করতে গিয়ে তিনি এখানে অর্থপাচারের দিকটি নিশ্চিত হয়েই এই ডিমান্ড অব জাস্টিস নোটিশটি পাঠিয়েছেন। বিদেশি প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়া ও বিদেশি কনটেন্ট সাবস্ক্রিপশন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশে দেখানোর সুযোগে অর্থপাচার ও কর ফাঁকি দুটোই খুব ভয়াবহভাবে চলছে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য গুগল, ফেসবুককে আর সাবস্ক্রিপশন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নেটফ্লিক্স, ইউটিউবকে সরাসরি দোষারোপ করা হয়েছে এই নোটিশে।

এ প্রসঙ্গে তিনি সারাবাংলা ডটনেটে ‘নেটফ্লিক্স অবৈধ! বছরে নিয়ে যাচ্ছে ২০০ কোটি টাকা’ শিরোনামে গত ১৮ জানুয়ারি প্রকাশিত খবরটিকে উদাহারণ হিসেবে এনে বলেন, ওই প্রতিবেদনে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর অনেকের কথাই জেনেছি। তাতে অত্যন্ত উদ্বেগের দিকটি ছিলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট দফতর বিষয়টি ওয়াকিবহালই নয়। অথচ বাংলাদেশ থেকে শতশত কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে নেটফ্লিক্স।

বিজ্ঞাপন

মেঘনা গ্রুপের বিপনন শাখার এক্সিকিউটিভ ডিরেকটর আসিফ ইকবালের বরাত দিয়ে নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ১৬০০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন বাজার রয়েছে। যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যাচ্ছে অনিবন্ধিত বেআইনী প্রতিষ্ঠানগুলোর পকেটে। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞাপন বাজার থেকে আয় হওয়া অর্থের একটা বড় অংশ বিদেশে পাচার হচ্ছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও ওয়েব; এই তিনটি মাধ্যমকে ব্যাবহার করে টিকে আছে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন বাজার। ডিজিটাল সময়ের সুবিধা ও আইটি সেক্টরের ব্যাপক উন্নতির ফলে বাংলাদেশের মানুষ যোগাযোগ ও দৈনন্দিন কাজে ডিজিটাল মাধ্যমের উপর আরো বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সরকারে সঠিক তদারকি ও নীতিমালার অভাবের কারণে বাংলাদেশ প্রতিবছর হারাচ্ছে প্রায় হাজার কোটি টাকা।

হাইকোর্টের ওই আইনজীবী জানিয়েছেন, তিনি নেটফ্লিক্স ও ইউটিউবের মতো ওয়েবসাইটগুলোর বেআইনী অর্থসংগ্রহের দিকটি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে লক্ষ্য করেছেন। এধরণের আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) টিভি ও ভিওডি (ভিডিও অন ডিমান্ড) সার্ভিস প্রোভাইডাররা বাংলাদেশে বিনা অনুমতিতে বিধিবিরুদ্ধ কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদের বরাত দিয়ে নোটিশে উল্লেখ করা হয়, এই ধরণের সেবা একরকম অবৈধই বলা যায় কারণ ব্যাবসা করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন অনুমতি নেয়নি তারা।

তিনি বলেন, এই যে ফেসবুক, গুগল কিংবা ইউটিউব নেটফ্লিক্স কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে নিচ্ছে তারা কিন্তু বাংলাদেশের কোনও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবন্ধিত নয়। বাংলাদেশের সীমারেখার মধ্যে তাদের নেই কোনও অফিস, আর নেই কোনও ব্যাংক অ্যাকাউন্টও। এমনকি এখানে তারা কোনও এজেন্টকেও নিয়োগ দেয়নি, যে বা যারা তাদের হয়ে এদেশে কাজ করবে। তাহলে প্রশ্নটিতো করাই যায়, কিভাবে তারা অর্থগুলো নিচ্ছে?

উত্তর হচ্ছে- অবৈধ পথে অর্থগুলো পাচার হয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ বৈধ পথে কিছু যাচ্ছে বটে, তবে তা মোট অর্থের ১০ শতাংশও নয়।’

বাংলাদেশে নেটফ্লিক্স ব্যবহারকারীর সংখ্যা দুই লাখেরও বেশি। যাদের কাছ থেকে মাসে গড়ে অন্তত ১০ ডলার করে চার্জ করছে নেটফ্লিক্স। অনলাইন স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে সিনেমা, নাটক ও সিরিজ দেখিয়ে, কার্ড থেকে অনলাইনেই চার্জ করে নিয়ে নিচ্ছে এই অর্থ। যার জন্য কোনো ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ করা হচ্ছে না। যা অবৈধ ও দেশের জন্য বড় ক্ষতি বলেই মনে করছেন এই আইনজীবী।

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফেসবুক ও গুগলের ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান বলেন, টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে এই দুই চ্যানেলে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে বাংলাদেশ অন্তত ১০০০ কোটি টাকা ব্যয় করছে। দ্য ডেইলি স্টারে এ বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত খবরের বরাতে এই তথ্য ছাড়াও ব্যারিস্টার মাহিন উল্লেখ করেছেন, দেশের বর্তমান মোট বিজ্ঞাপনী বাজারের ৬২ শতাংশই আন্তর্জাতিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে চলে গেছে। আর ধারনা করা হচ্ছে- ২০১৮ সাল নাগাদ তা দ্বিগুন বেড়ে ২০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। যার প্রায় ৯০ শতাংশই চলে যাবে অবৈধ পথে।

ব্যারিস্টার মাহিন রহমান বলেন, বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেটে পরিণত হয়েছে। দেশের লাখ লাখ প্রতিষ্ঠান এখন প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক এসব প্রতিষ্ঠানকে বিজ্ঞাপন প্রচার কিংবা কনটেন্ট সাবস্ক্রিপশনের জন্য অর্থ দিচ্ছে যা স্রেফ অর্থপাচার।

ব্যারিস্টার মাহিন সারাবাংলাকে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আইসিটি খাতকে টেকসই উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে আমাদের এখনই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত অর্থ পরিশোধ প্রক্রিয়াগুলো কোনও কোনও ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে তার অপব্যবহারই হচ্ছে বেশি। ক্রেডিট কার্ড, রেসিডেন্স ফরেন কারেন্সি ডেপোজিট (আরএফসিডি) কার্ড, ফরেন কারেন্সি রেমিট্যান্স কোটার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এগুলো সুনির্দিষ্ট কিছু কাজের বা সুবিধার জন্য বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু আমরা এখন এগুলোর অপব্যবহারই বেশি দেখছি।

উদাহরণ হিসেবে তিনি নেটফ্লিক্সের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ক্রেডিট কার্ডের ট্রাভেল কোটায় কোনও ব্যক্তি তার বিদেশ ভ্রমণকালে যাতে সুবিধা পান, হোটেল পেমেন্ট থেকে কেনা কাটা যাতে সহজে স্বস্তিতে করতে পারেন তার জন্য সুবিধা রাখা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে বর্তমানে দুই লাখেরও বেশি নেটফ্লিক্স ব্যবহারকারী রয়েছে, যারা দেশে বসে নেটফ্লিক্সের ফিল্ম-ড্রামা দেখছে। আর ট্রাভেল কোটায় বরাদ্দ অর্থ থেকে নেটফ্লিক্স তার সাবস্ক্রিপশন ফি কেটে নিচ্ছে। এছাড়াও নেটফ্লিক্সের অটোরিনিউয়াল সিস্টেমে তারা প্রতিমাসে নিজে নিজেই কার্ড থেকে অর্থ নিয়ে নিতে পারছে, যা বাংলাদেশের প্রচলিত ব্যবস্থায় অবৈধ। আর গাইড লাইনের অভাবেই তা সম্ভব হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সীমারেখার মধ্যে যেসব ডিজিটাল মার্কেটিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান কিংবা সাবস্ক্রিবশনভিত্তিক কনটেন্ট প্ল্যাটফর্ম রয়েছে তাদের ওপর সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তাদের ওপর ট্যাক্স-ভ্যাটও আরোপ করা হচ্ছে। অথচ একই ধরনের সেবা ও কনটেন্ট সরবরাহ করে বিদেশি প্রতিষ্ঠান কিংবা প্ল্যাটফর্মগুলো বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করে যাচ্ছে। সরকার সেখান থেকে পাচ্ছে না একটি টাকাও। ফলে বিপুল পরিমান রাজস্ব খোয়াচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, এতে দেশীয় কোম্পানিগুলো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে যা দেশের কম্পিটিশন আইন, ২০১২ এর পরিপন্থী।

এছাড়াও এসব প্ল্যাটফর্মে কি ধরনের কনটেন্ট থাকছে বা দেখানো হচ্ছে তার ওপরও রাষ্ট্রের নেই সামান্য নিয়ন্ত্রণ।

নোটিশে তিনি অর্থপাচার প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ধারা ২৩ এবং ২০১৩ সালে গৃহীত অর্থপাচার প্রতিরোধ বিধিমালার কথা উল্লেখ করে জানান, এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)কে দায়িত্ব ও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এ ধরনের অর্থপাচার বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। তবে এই ইউনিট এ পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি।

মাহিন রহমান বলেন, এটা একটা বিষ্ময়ের ব্যাপার যে, ২০১৬ সালে বিটিআরসি বাংলাদেশে ভিওডি ও আইপিটিভি সেবা বিনা অনুমতিতে প্রচার নিষিদ্ধ করে। সে বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে সে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়, অথচ সে বছরই অনেকটা ঢাকঢোল পিটিয়ে বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোতে নেটফ্লিক্স ব্যবসা শুরু করে। আর গুগল ফেসবুকে বিজ্ঞাপনী ব্যবসাতো চলছে তারও কয়েক বছর আগে থেকে। কিন্তু বিটিআরসি এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নিতে পারেনি।

আর এই যে বিপুল অংক দেশ থেকে বের হয়ে যাচ্ছে সাথে সাথে তারা যে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে সে নিয়ে মাথাব্যাথা নেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেরও। তাদেরও উচিত এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ট্যাক্সের আওতায় নিয়ে আসা, বলেন ব্যারিস্টার মাহিন রহমান।

ব্যারিস্টার মাহিন তার নোটিশে বলেছেন, এই অবৈধ অর্থপাচারের মধ্য দিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্র, চোরাচালান ও মাদক পাচারকারী চক্রকে সুযোগ করে দিচ্ছি কিনা সেটিও ভেবে দেখতে হবে।

তিনি বলেন, দেশ থেকে অবৈধ পথে হুন্ডির মাধ্যমে কার কাছে অর্থগুলো পৌঁছানো হচ্ছে, তা কারো জানা নেই। হতে পারে এই অর্থই ব্যবহৃত হচ্ছে সন্ত্রাসে কিংবা মাদক পাচারে।

সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যান বলেছেন, ফেসবুক, গুগল ইউটিউবে বিজ্ঞাপনদাতাদের করের আওতায় আনা হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে এই অর্থপাচার বন্ধ হবে কি? সারাবাংলার এমন প্রশ্নে ব্যারিস্টার মাহিন বলেন, এই কর আরোপের বিষয়টি অন্য প্রসঙ্গ। সরকার এই বিজ্ঞাপনে কর আরোপ করতেও পারে, আবার মওকুফও করতে পারে। এখানে সরকারকে দেখতে হবে বিজ্ঞাপনের অর্থগুলো কোন পথে যাচ্ছে ওইসব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে। অবৈধ পথেই তা যাচ্ছে। এবং এর প্রতিকার সরকারকেই করতে হবে। আর টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন এখন সবচেয়ে জরুরি।

সারাবাংলা/এমএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন