বিজ্ঞাপন

ডিপিএলে খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব

March 18, 2019 | 7:36 pm

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট

তার মাঠে ফেরার লড়াই দেখে মনে হয়েছিল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে মরিয়া হয়ে ওঠেছেন। কিন্তু না, ১৬-২০ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের শেষ টেস্টেও দেশের হয়ে নামার জন্য সেখানে যাননি সাকিব আল হাসান। যদিও ক্রাইস্টচার্চের ম্যাচটি পরে বাতিল হয়।

বিজ্ঞাপন

সাকিবের আঙুলের যে অবস্থা তাতে ২০ মার্চ পর্যন্ত তিনি ফিট হবেন না বলে জানানো হয়। এদিকে, ২৩ মার্চ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে আইপিএলের ১২তম আসর। ভাবা হচ্ছিল, আইপিএল দিয়েই তিনি আবার মাঠে ফিরবেন। সমালোচনা হয়েছিল, আইপিএলের কারণে সাকিব চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) খেলবেন না। এরই মধ্যে তিন রাউন্ড শেষ হয়েছে। ১৯ মার্চ থেকে শুরু হবে ডিপিএলের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচগুলো।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে ক্রাইস্টচার্চ হামলায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়ার জন্য শুকরানা মিলাদের আয়োজন করা হয় বিসিবিতে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন।

সাকিবের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সাকিব খেলতে চায়। আমাকেও বলেছে। ২০ তারিখে তাকে ডাক্তাররা দেখবে। এরপর জানা যাবে। এটা পুরোটাই ডাক্তারদের উপর। সত্যি কথা বলতে, তার প্রিমিয়ার লিগ খেলার কোনো সুযোগই দেখি না, এক্কেবারে না। তাদের তো লিস্টেই নাম ছিল না। খেলতে চাইলেই তো হবে না। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ কিন্তু এতো সহজ জিনিস না। ইচ্ছে হলেই খেলবে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত ১১ মার্চ বিসিবি কার্যালয়ে সংবাদ মাধ্যমকে সাকিবের দেশের হয়ে না ফেরার তথ্য দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডর ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে কথা হয়নি। কিন্তু মেডিকেলের যে রিপোর্টটা পেয়েছি, ২০ তারিখ পর্যন্ত সে ফিট হবে না। তাই তার নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা যে রিপোর্ট পেয়েছি ২০ তারিখ পর্যন্ত সে পারবে না। তারপরে সে অনুশীলন করবে। এরপরে দেখা যাবে সে কী করবে, না করবে।’

বিপিএল ষষ্ঠ আসরের ফাইনালে বাঁ হাতের অনামিকায় চোট পাওয়ায় নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে এবং টেস্ট সিরিজে খেলতে পারেননি টাইগার টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলপতি সাকিব। চিকিৎসকের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী চোট পাওয়ার তিন সপ্তাহ পর আঙুলে এক্সরে করিয়ে তার পরদিন থেকেই মিরপুরে অনুশীলন শুরু করেন। গেল ৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ঐচ্ছিক সেই অনুশীলনে শুধু ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন সাকিব।

গত ৮ মার্চ থেকে দেশের তিনটি ভেন্যুতে শুরু হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদার আসর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো সেখানে নেই সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের মতো ‘ইম্প্যাক্ট’ ক্রিকেটাররা। পুরো মৌসুমে তাদের দেখাও যাবে না। তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম ব্যক্তিগত উদ্যেগে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেবেন বলে বিসিবি থেকে ছুটি নিয়েছেন। মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছিলেন, ‘সাকিবের যে ইনজুরিটা ছিল সেটা সে কিছুটা সেরে উঠেছে। এরপরে যদি সে ফিট হতে পারে এবং চিকিৎসক তাকে ক্লিয়ারেন্স দেয়, যে কোনো ফরম্যাটেই সে খেলতে যেতে পারে। শুধু আইপিএল না, বাংলাদেশের খেলাও যদি থাকতো অবশ্যই সাকিব সেখানে যোগ দিতো।’

বিজ্ঞাপন

অথচ দেশের ক্রিকেটের স্বার্থেই প্রিমিয়ার লিগে সাকিবের উপস্থিতি অপরিহার্য ছিল। খুব বেশি কিছু না, সাকিব যদি তার লম্বা ঝলমলে ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতার ঝুলিটি কিছুটা হলেও অনুজদের জন্য খুলে দিতেন, তাতে তারা যেমন এগিয়ে যেতেন, তেমনি এগিয়ে যেত এদেশের ক্রিকেট। কেননা সাকিব তো সাধারণ কেউ নন। এখন দেখার বিষয় ইনজুরি থেকে সেরে উঠতে না উঠতেই ২৩ মার্চ থেকে শুরু হওয়া আইপিএলে সাকিব খেলেন কি না! সেখানে যদি তিনি আবার ইনজুরিতে পড়েন? তখন কী হবে? ‘একের ভেতরে দুই’ সাকিবকে ছাড়াই বিশ্বকাপ মিশনে যেতে হবে বাংলাদেশকে। এদিকে, সাকিব, তামিম, মুশফিকের অনুপস্থিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ রং হারিয়েছে সেটা বলা যায়। তবে, মাশরাফি যোগ দেওয়ায় কিছুটা হলেও রং ফিরে পাচ্ছে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক এই আসরটি।

সারাবাংলা/এমআরপি

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন