বিজ্ঞাপন

ঢাকার নিস্তারে বিপিএলের স্বস্তি

January 17, 2019 | 7:16 pm

।। স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

১৮ জানুয়ারি থেকে মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের (বিপিএল) এগারতম আসর। এই বিপিএলটা একটু ভিন্ন এই কারণে যে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে প্রকৃত অর্থেই মাঠে গড়াচ্ছে ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরটি। তাতে চাপ কমছে ঢাকার। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের। রাজধানী কেন্দ্রিক ফুটবল ছেড়ে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে বিপিএল, যা এবারই প্রথম।

যদিও ৮ ভেন্যুতে খেলার চিন্তা ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। তবে ক্লাবগুলোর অসম্মতিতেই দুটি ভেন্যু বাদ পড়েছে। ঢাকাকে হোম ভেন্যু বানিয়েছে শেখ জামাল।

‘হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ পদ্ধতিতে ফিরছে দেশের ফুটবল। বিদায় হচ্ছে ঢাকাকেন্দ্রিক জৌলুসহীন ফুটবল! জৌলুসহীন বলার কারণ আছে। ঢাকাকেন্দ্রিক ফুটবলে যেমন দর্শক হয় না তেমনি আমেজও থাকে না ‘অবিবেচক শিডিউলের’ কারণে। এবার সেটারও মুক্তি হতে চলেছে। দেশজুড়ে প্রান্তিক পর্যায়ে ফুটবলের জনপ্রিয়তা যে শেখড়ে তার প্রমাণ নীলফামারী বা চুয়াডাঙ্গা। লঙ্কানদের সঙ্গে বাংলাদেশের ফ্রেন্ডলি ম্যাচেও মাঠে দর্শক জায়গা দেয়া কঠিন হয়ে গিয়েছিল! দেশসেরা ফুটবলারদের নৈপূণ্য উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে সমর্থকরা।

বিজ্ঞাপন

৬ ভেন্যুতে বিপিএল; সপ্তাহে ৫ দিন ম্যাচ:
হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে প্রথম পর্বে ১৫৬ ম্যাচের মধ্যে রাখা হয়েছে ৭৮টি ম্যাচ। সপ্তাহে পাঁচদিনে ১০টি করে ম্যাচ রাখা হয়েছে। প্রথম পর্বে থাকছে ১৩টি রাউন্ড ও শুক্রবার-শনিবার-রোববারসহ প্রায় প্রতিদিনই রাখা হয়েছে ম্যাচ। তবে, প্রত্যেক সপ্তাহের যে কোনো দুটি ম্যাচ ফাঁকা রাখা হয়েছে। আর সবগুলো ম্যাচই বিকেলে রাখা হয়েছে। ৬টি ভেন্যুতে ম্যাচগুলো উপভোগ করতে পারছেন দেশজুড়ে আপামর ফুটবল সমর্থকরা।

যে ৬টি ভেন্যুতে ফুটবল গড়াচ্ছে:
ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর লিগের দল ১৩টি। এর মধ্যে দুই ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান ও ঢাকা আবাহনীসহ শেখ জামাল, রহমতগঞ্জ ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন ভেন্যু হিসেবে পাচ্ছে ঢাকার এই স্টেডিয়াম।

সিলেট স্টেডিয়াম শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের, ময়মনসিংহ স্টেডিয়াম আরামবাগ ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের, চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়াম চট্টগ্রাম আবাহনীর, গোপালগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের, নোয়াখালী বিজেএমসি ও নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের এবং নীলফামারী বসুন্ধরা কিংসের হোম ভেন্যু।

বিজ্ঞাপন

এর ফলে ঢাকা যেমন নিস্তার পাচ্ছে তেমনি দেশের আপামর ফুটবল সমর্থকদের জন্য সহজলভ্য হচ্ছে দেশের ফুটবল। এতে যেমন অনুপ্রাণিত হবে প্রান্তিক পর্যায়ে অনেক আগামীর ফুটবলার তেমনি ফুটবল আলো ছড়িয়ে পড়বে দেশজুড়ে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।

সারাবাংলা/জেএইচ/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন