April 22, 2018 | 10:10 pm
।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।
ঢাকা: এ বছর চৈত্রের শেষ ভাগেই শুরু হয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। রোববার (২২ এপ্রিল) চলতি বছরের তীব্র ঝড় বয়ে যায় রাজধানীর ওপর দিয়ে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার- যা এই বছরে এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সর্বোচ্চ গতিবেগ।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, আজ (রোববার) চলতি বছরের সর্বোচ্চ গতির কালবৈশাখীর ঝড় ছিল। তবে বাতাসের তুলনায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল কিছুটা কম। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজধানীতে ৫ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অধিদফতর আরও বলছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশে পাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
যে কারণে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহীতে দমকা অথবা ঝড়ো বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
রাজধানীর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ১৫ মিনিটের ঝরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খামার বাড়ির খেজুর বাগান এলাকায় রাস্তার ওপর গাছ ভেঙে পড়ে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) সামনের রাস্তায় অনেক গাছ ভেঙে পড়ে।
ঝড়ের পর থেকেই রাজধানীর শাহীনবাগ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে যায়। সন্ধ্যার পর থেকে মোমবাতির খোঁজ শুরু করছে স্থানীয় লোকজন। স্থানীয় দোকানগুলোতে মোম কিনতে আসা অনেকে ফিরে গেছে।
শাহীনবাগের মনিহারি দোকানদার কাঞ্চন মিয়া বলেন, দোকানে ৫০টির মতো মোম ছিল। সন্ধ্যা ৭ টার দিকেই শেষ হয়ে গেছে। এখন মোম আগের মতো চলে না। তাই আমরাও রাখিনা। কিন্তু এখন অনেকেই এসে মোম খোঁজে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
এদিকে বজ্রাঘাতে হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট ছয়জন মারা গেছেন। এরা হলেন, হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার স্বজনগ্রামের কাদির মিয়ার ছেলে কৃষক নুফুল মিয়া (৪৫), একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কৃষক আপন মিয়া (৩৫), বানিয়াচং উপজেলার হিয়ালা আগলা বাড়ি এলাকার ফুল মিয়ার ছেলে মঈন উদ্দিন (১২), বাজিতপুর উপজেলার মাইজছর ইউনিয়েনরে কাটাবন এলাকার আবদুল মজিদের ছেলে আবদুর রশিদ (৩৫), বাজিতপুরের বাহের বালি এলাকায় সামেদ মিয়ার ছেলে তৌহিদ মিয়া (২৭) ও মিঠামইন উপজেলার ভুরভুরি গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের স্ত্রী রুপচান বেগম।
লাখাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দেওয়ান মো. নুরুল ইসলাম, বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম মজুমদার ও মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন ভূইয়া সারাবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, নিহত সবাই ঝড়ের সময় কৃষি কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
সারাবাংলা/এমএইচ/এটি
** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook