বিজ্ঞাপন

ঢাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

January 23, 2018 | 4:34 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে ছাত্রলীগের যৌন নিপিড়নসহ ৪ দফা দাবিতে উপাচার্য কার্যালয় ঘেরাও করে রেখেছিল আন্দোলনকারীরা। বিকেল ৪টার দিকে  ছাত্রলীগের একটি দল আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়।

এ ঘটনায় ৯ জন আহত শিক্ষার্থী চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতরা হলেন রাজীব কুমার দাস, লিটন দাস, তাজওয়ার, জহরলাল রায়, অপু, আরশাদ, রায়হান ও বেনজির। ঢামেক হাসপাতাল ক্যাম্প পুলিশ বক্সের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আন্দোলনকারী ঢাবির বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হোসেইন অনিমেষ সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রায় হাজার খানেক ছাত্রলীগ আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠি, লোহার রড নিয়ে হামলা করে। আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে তারা আটকে রাখে। হামলাকরীদের মধ্যে বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগের কর্মীরা ছিল।’

বিজ্ঞাপন

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আল আমিনের কাছে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আন্দোলনকারীরা ভিসি স্যারের ওপর হাত তোলে। তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। ছাত্রলীগ কোনও হামলা করেনি। তারা শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল।’

এর আগে বেলা ১২টার দিকে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা অপরাজেয় বাংলা থেকে মিছিল শুরু করে। এর পর তারা উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।

আন্দোলনকারীরা জানায়, গত ১৫ জানুয়ারি ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান আন্দোলনকারীদের সকল দাবি যৌক্তিক বলেন। তিনি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সময় নেন।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হচ্ছে- চিহ্নিত সাত যৌন নিপীড়নকারী ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার, অধিভুক্ত সাত কলেজের সংকট নিরসন, প্রক্টরের দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ প্রক্টরের পদত্যাগ।

আন্দোলনকারী ঢাবির চারুকলার শিক্ষার্থী সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আমরা গেইট ভাঙার মামলার জন্য আসি নাই, আমরা এসেছি নির্যাতিত ছাত্রীদের কথা বলতে। আমরা এসেছি ওই ছাত্রলীগ নেতার শাস্তি চাইতে। সাধারণ ছাত্ররা প্রক্টরের কাছে গেলে গেইটে তালা দেন, আর ছাত্রলীগের ছেলেরা আসলে ভাই ভাই করেন। হলে ছাত্রদের শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সুযোগ নেই, ছাত্রলীগ তাদের বুকে চেপে বসে আছে। আমরা নৈতিকতার পক্ষে দাঁড়ালে মামলা দিচ্ছেন।’

এসময় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র রায়হান অভিযোগ করে বলেন, প্রক্টর ছাত্রলীগের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দালালি করছেন।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল চেয়ে গত ১৫ জানুয়ারি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কর্মসূচি দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ভিসির বাসভবনের সামনে আন্দোলন করতে থাকে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসে আন্দোলনে থাকা নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। মশিউর নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রকে তুলে নিয়ে মারধরও করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছাত্রলীগের ঢাবি বঙ্গবন্ধু হল শাখার সভাপতি আল-আমিন, ছাত্রলীগ নেতা মেহেদি হাসান সানি, সোহানুর রহমান, গোলাম সারোয়ার, লিপি আক্তার, বেনজির হোসেন নিশি, তন্নী ও শ্রাবণী শায়লাসহ মোট আট জন যৌন হয়রানির ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

সারাবাংলা/এসও/এনএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন