বিজ্ঞাপন

ঢাবির ৭ শহীদ বুদ্ধিজীবী শিক্ষককে সম্মাননা ও স্বর্ণপদক প্রদান

March 24, 2018 | 9:26 pm

।। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ।।    

বিজ্ঞাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাতজন শহীদ বুদ্ধিজীবী শিক্ষকদের সম্মাননা এবং ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড (স্বর্ণপদক) ২০১৮ প্রদান করা হয়েছে।

আজ শনিবার (২৪ মার্চ) ঢাবির অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের এ সম্মাননা ও পদক দেওয়া হয়। এরা হলেন – শহীদ অধ্যাপক ড. গোবিন্দচন্দ্র দেব, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, আবু নাসের ম. মুনীরউজ্জামান, আবু নয়ীম মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, মোহাম্মদ আনোয়ার পাশা এবং এস এম রাশিদুল হাসান।

অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব রঞ্জন কর্মকারের সঞ্চালনায় অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, ঢাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ, স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী এবং শহীদ শিক্ষক বুদ্ধিজীবীদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ।

ড. তৌফিক ই – ইলাহী চৌধুরী প্রধান অতিথি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে গেলে ঝুঁকি নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়েছিল ও এখনো নিচ্ছেন। তিনি ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধাপরাধীর বিচার করেছিলেন। আর এভাবেই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশকে নিয়ে হেনরি কিসিন্জারের বলা বক্তব্যের ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বলেন, হেনরি কিসিঞ্জার দেখে যাক বাংলাদেশ কত এ গিয়ে। আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে, দেশের শিল্প-প্রযুক্তি, সাহিত্য, ঐতিহ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের জন্য একটি গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

উপাচার্য ড. মো আখতারুজ্জামান বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী শিক্ষকগণ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সকল ধরনের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তারা বিভিন্ন আন্দোলনের যৌক্তিকতা ছাত্রদের সামনে তুলে ধরে আন্দোলন বেগবান করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সহায়তা করার জন্যে তারা পাকিস্তানি শাসকদের ক্রোধানলে পড়েন। এছাড়াও তারা ছিলেন মুক্তচিন্তার মানুষ। এ কারণে পাকিস্তানি শাসকরা এদেশকে মেধাশূন্য করার জন্যে তাদের হত্যা করে। তাদের অবদানের কথা জাতি কখনো ভুলবে না।

তিনি বলেন, শহীদ পরিবারের পাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সব সময় থাকবে।

অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর যেন অর্থের অভাবে পড়া বন্ধ না হয়। বর্তমানে আমরা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৭১৫ জনকে এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫০০ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক পর্যায়ের জন্য মাসিক ২ হাজার ৫০০ টাকা করে বৃত্তি দিচ্ছি। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপকদের আমরা সম্মাননা প্রদান করি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা দেশের শহীদ বুদ্ধিজীবী শিক্ষকদের সম্মাননা জানাচ্ছি।

অধ্যাপক ড. গোবিন্দচন্দ্র দেবের পক্ষে সম্মাননা নেন গোবিন্দচন্দ্র দেব দর্শন পরিবারের পরিচালক ও দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার পক্ষে সম্মাননা নেন তার সন্তান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মেঘনা গুহঠাকুরতা, আবু নাসের ম. মুনীরউজ্জামানের পক্ষে সম্মাননা নেন তার সন্তান আবু মুসা মোহাম্মদ নাসিরুজ্জামান ও লুলু নাসরিন, মুনীর চৌধুরীর পক্ষে সম্মাননা নেন তার সন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর পক্ষে সম্মাননা নেন তার সন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী, মোহাম্মদ আনোয়ার পাশার পক্ষে সম্মাননা নেন তার নাতি শাওকী আক্তার এবং এস এম এ রাশিদুল হাসানের পক্ষে সম্মাননা নেন তার সন্তান মাহমুদ হাসান, সুরাইয়া আমিনা ও রোকাইয়া হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

শহীদ শিক্ষকদের পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন ড. তৌফিক-ই-ইলাহী এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবী শিক্ষকদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সারাবাংলা/আরএম/টিএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন