বিজ্ঞাপন

তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব অস্বীকার করেছেন: আইনমন্ত্রী

April 26, 2018 | 3:40 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির সাজাপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব অস্বীকার করেছেন বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, এ মুহূর্তে তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ডিনাই (অস্বীকার) করেছেন। তবে ভবিষ্যতে তিনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হতে চান, তাহলে পারবেন না, এটা তো না।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। আগামী ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত তার হাতে পাসপোর্ট ছিল ততক্ষণ পর্যন্ত তার আইডেন্টিটি ছিল তিনি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। যখন তিনি স্বেচ্ছায় বলছেন, আমি আমার পাসপোর্ট সারেন্ডার করে দিলাম এবং পাসপোর্ট সারেন্ডার করে দেওয়ার পর কি বলা যাবে তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব রেখে দিয়েছেন?’

পাসপোর্টের সঙ্গে নাগরিকত্বের সম্পর্ক কি-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যদি আপনি থাকেন এবং আপনার যদি বাংলাদেশের পাসপোর্ট না থাকে তাহলে কিন্তু আপনার নাগরিকত্ব ইফেক্টেড হয় না। দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য এটা প্রয়োজন হয়। বাইরে গেল আপনি যে বাংলাদেশের নাগরিক এ পাসপোর্টই হলো সেটার আইডেন্টিটি (পরিচয়পত্র)।

মন্ত্রী বলেন, যেই বিতর্ক হচ্ছে সেখান থেকে আমি যেটা জানতে পেরেছি, সেটা হচ্ছে, একজন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমান, তিনি ইউনাইটেড কিংডমে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করার জন্য তার পাসপোর্ট সারেন্ডার (জমা) দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

তার মানে তিনি বলছেন, আপাতত আমি বাংলাদেশের নাগরিক থাকতে চাই না, আমি এই পাসপোর্টটা সারেন্ডার করলাম, আপনারা আমাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিন। এটাই কিন্তু আমি জানতে পেরেছি।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যখন যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন, মুচলেকা দিয়ে গিয়েছিলেন। তারপরে তিনি তার পাসপোর্ট সারেন্ডার করেছেন। তার মানে তিনি স্বেচ্ছায় বলছেন, আমি এখন বাংলাদেশের নাগরিক থাকতে চাই না। আমাকে এখানে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হোক। তিনি ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন, তারা তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে কি না সে ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। যদি দিয়ে থাকে তাহলে ভালো কথা। না দিয়ে থাকলে সেটা আমি জানি না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ভূখণ্ডে তিনি অপরাধ করেছেন। তখন তিনি বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন।’

এ সময় তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিক না হলেও তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার না করার বিষয়ে আদালতের আদেশ থাকলেও কিছু গণমাধ্যম কীভাবে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার করছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমানের যে বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে এটা কীভাবে প্রচার করা হচ্ছে সেটা হচ্ছে প্রথম ব্যাপার। এক্ষেত্রে যে বাধা আছে, হাইকোর্টের একটি অর্ডার রয়েছে, সে অর্ডার যদি অমান্য করা হয় নিশ্চয়ই সেটা আদালত অবমাননা হবে। সেক্ষেত্রে আমি সকলকে হাইকোর্টের আদেশটি পালন করার অনুরোধ করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় না সরকারি দিক থেকে তারেক রহমানের প্রচার করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ব্যক্তিমালিকানাধীন ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়ায় যারা প্রচার করছে তাদেরকে আমি এটুকুই বলব, এখানে হাইকোর্টের একটি আদেশ আছে। সেটা প্রতিফলন করা সকল বাংলাদেশি নাগরিকের কর্তব্য। আমি সেটা প্রতিপালন করার অনুরোধ করছি।’

তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যদি এ মুহূর্তে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব না-ও থেকে থাকে, তাহলেও তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাক্টের অধীনে তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’

সারাবাংলা/এইচএ/একে

আরও পড়ুন

আবেদন করলেও তারেক রহমানকে পাসপোর্ট দেওয়া হবে না

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন