বিজ্ঞাপন

তাসফিয়ার মৃত্যু, আরও একজন গ্রেফতার

May 24, 2018 | 9:49 am

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিনের মৃত্যুর ঘটনায় আসিফ মিজান (১৮) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসিফ তাসফিয়ার বাবার দায়ের করা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

বুধবার (২৩ মে) রাতে আসিফকে চট্টগ্রাম নগরীর নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এ নিয়ে এই ঘটনায় দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।

তবে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসিফও তাসফিয়ার মৃত্যুরহস্য নিয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের কর্ণফুলী জোনের সহকারী কমিশনার জাহেদুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

তিনি সারাবাংলাকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসিফ জানিয়েছে সে তাসফিয়াকে কোনদিন দেখেনি। তাসফিয়ার কিভাবে মৃত্যু হয়েছে সে জানে না। তবে তাসফিয়া নিখোঁজের পর তার বাবার কাছ থেকে আদনানকে ছাড়িয়ে আনার কথা সে স্বীকার করেছে।

গত ১ মে বিকেলে তাসফিয়া আমিন (১৬) নগরীর ওআর নিজাম রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে গোলপাহাড় মোড়ে চায়না গ্রিল নামে একটি রেস্টুরেন্টে বন্ধু আদনান মির্জার (১৬) সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। এরপর ২ মে সকালে তার মরদেহ নগরীর পতেঙ্গা থানার নেভাল একাডেমির অদূরে ১৮ নম্বর ঘাট এলাকায় নদীতীরে পাওয়া যায়। সেদিন রাতেই আদনানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশের কাছে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে তাসফিয়া ও আদনানকে চায়না গ্রিল রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে পৃথক দুটি অটোরিকশায় করে চলে যেতে দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

১ মে সন্ধ্যায় যখন তাসফিয়া বাসায় ফেরেনি, তখন তার বাবা মোহাম্মদ আমিন আদনানকে বাসায় ডেকে নিয়ে যান। তাকে নিয়ে তাসফিয়াকে খোঁজাখুজি করেন। এক পর্যায়ে আদনানকে আটকে রাখে। রাতে কথিত যুবলীগ নেতা ফিরোজের সঙ্গে আসিফ মিজানসহ কয়েকজন গিয়ে আদনানকে তাসফিয়ার বাসা থেকে নিয়ে আসে। এসময় দুই ঘন্টার মধ্যে তাসফিয়াকে খুঁজে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা জাহেদুল জানান, আসিফ জানিয়েছে- আদনানকে হেফাজতে নেওয়ার পর তাসফিয়ার বিষয়ে তারা জিজ্ঞেস করেছিলেন। এসময় আদনান তাদের জানায়, চায়না গ্রীল রেস্টুরেন্ট থেকে বের হওয়ার পর তাসফিয়ার সঙ্গে তার আর যোগাযোগ হয়নি। আসিফকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

গত সোমবার (২১ মে) সংবাদ সম্মেলন করে তাসফিয়ার বাবা আমিন ‘হত্যাকাণ্ডে’ জড়িত সব আসামিকে গ্রেফতারের দাবি জানান। আদনানকে ‘তাসফিয়ার হত্যাকারী’ হিসেবে উল্লেখ করে ঘটনায় তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনের তদন্ত দাবি করেন।

আমিনের বাড়ি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলা সদরের ডেইলপাড়া এলাকায়।

বিজ্ঞাপন

তাসফিয়া সানসাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। তার বন্ধু আদনান মির্জা এলিমেন্টারি স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র।

তাসফিয়ার মরদেহ উদ্ধারের পর ৩ মে তার বাবা বাদি হয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন, আদনান মির্জা, সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র শওকত মিরাজ, এইচএসসি পরীক্ষার্থী আসিফ মিজান, আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের এইচএসসির ছাত্র ইমতিয়াজ সুলতান ইকরাম এবং কথিত যুবলীগ নেতা মো. ফিরোজ ও তার সহযোগী সোহায়েল ওরফে সোহেল।

সারাবাংলা/আরডি/আইএ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন