বিজ্ঞাপন

তিন বছরের শিশুর দাবায় রেকর্ড!

March 3, 2018 | 5:53 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বয়স কত হবে মেয়েটির? তিন বা চার। চেয়ারে বসে দাবার বোর্ড নাগাল না পেলেও দাবা খেলার অতি আগ্রহ তাকে এই খেলায় নামিয়েছে। এইটুকুন বয়সে আর দশজন শিশুরা যখন দাবার মতো বুদ্ধির খেলার কথা চিন্তাও করবে না। কিন্তু তাবু এই বয়সেই একটি রেকর্ডেরও মালিক হয়ে গেছেন।

মহিলা দাবায় সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে বড় আসরে অভিষেক হওয়া খুদে দাবাড়ুর নাম আরিশা হোসেন তুবা।

শমসের আলী তৃতীয় মহিলা রেটিং দাবা প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছে তাবু। তাকে দেখে বিষ্মিত দেশের মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টার আব্দুল হামিদ। তাবুর অংশ নেয়া দেখে মজা করেই বললেন, ‘কী বলেন মেয়েটির বয়স সাড়ে তিন বছর? আমার তো মনে হয় পাঁচ হবে।’মুচকি হেসে বললেন ‘বেশি না আমার চেয়ে মাত্র ৭০ বছরের ছোট।’

বিজ্ঞাপন

মেয়ের দাবা খেলার প্রতি আগ্রহ আরও ছোট বয়সে এমনটাই জানালেন তুবার মা আনোয়ারা খাতুন, ‘আমার মেয়ের বয়স তিন বছর পাঁচ মাস। দুই বছর থেকে দাবায় অংশ নিচ্ছে মেয়ে। পড়ছে লর্ডস অ্যান্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের কেজিতে।’

দাবায় এবারই তার প্রথম অংশগ্রহণ নয়। ক’দিন আগে শেখ রাসেল স্কুল দাবায় অংশ নিয়ে সাতজনের মধ্যে ষষ্ঠ হয় সে। জিতেছিল একটি ম্যাচ। ওই দিন টানা সাত রাউন্ড দাবা খেলেছিল সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। ফেব্রুয়ারিতে দাবা ফেস্টিভালেও ছিল তার প্রতিনিধিত্ব। সে দিন অবশ্য নকআউট-ভিত্তিক খেলায় প্রথম ম্যাচেই হেরে যায় সে।

তাবুর জন্ম অবশ্য দাবা পরিবারেই। পরিবারেই দাবার হাতেখড়ি তার। আনোয়ারা জানালেন, তার খালা আরিফা হোসেন মনি তাকে দাবা খেলা শেখান। মনি নিজেও জাতীয় দাবায় অংশ নিয়েছিলেন। পাঁচ বছর বয়সে তিনি খেলেছিলেন রানী হামিদের বিপক্ষে। পরে ২০০৭ সালে হারিয়েছিলেন রানী হামিদকে। তুবার নানী সেলিনা হোসেন দাবা খেলেছেন। নানীও দাবায় সময় দেন নাতনীকে। ভাই আবীর হোসেনও বাসায় তার দাবার অনুশীলনের সঙ্গী। সাড়ে তিন বছর বয়সে একটি ছোট মেয়ের সময় কাটানের কথা টিভি দেখে। দুরন্তপনা করে; কিন্তু তুবা বাসায় তিন চার ঘণ্টা সময় দেয় দাবার পেছনে।

বিজ্ঞাপন

তাবুর জানালো তার লক্ষ্যের কথা, ‘আমি গ্র্যান্ড মাস্টার হতে চাই।’ পাশ থেকে মা শিখিয়ে দিচ্ছিলেন, বলো, আন্তর্জাতিক মাস্টার হতে চাই। মাথা নাড়িয়ে তুবার প্রতিবাদ, না আমি গ্র্যান্ড মাস্টার হবো। মা-ও পরে জানান, ‘আমি মেয়েকে গ্র্যান্ড মাস্টার বানাব। এটাই পরিকল্পনা।’

একটি ম্যাচ খেলে তুবা। যদিও হেরে যায় ম্যাচটি। তবে শিশুর দাবা যাত্রা শুরু হলোতো।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন