বিজ্ঞাপন

তীব্র শীত তবু রৌদ্রজ্জ্বল থাকবে নির্বাচনের দিন

December 29, 2018 | 5:19 pm

।। মাকসুদা আজীজ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রোববার (৩০ ডিসেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এদিকে সারাদেশে শৈত্য প্রবাহ বইতে শুরু করেছে। দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমের কিছু জেলায় তীব্র এবং দেশের বাকি অংশে মাঝারি থেকে মৃদু শৈত্য প্রবাহের খবর পাওয়া গেছে। তবে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, শীত যতই হোক দিনটি হবে রৌদ্রজ্জ্বল।

উত্তরবঙ্গের চার জেলা রাজারহাট, তেতুলিয়া, রাজশাহী ও দিনাজপুরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে—এর মধ্যে রাজারহাটে গতকাল সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী ও তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং খুলনা ও বরিশালের সবগুলো জেলায় মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

দেশের কোনো এলাকায় তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি নয়। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়াও মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৬ দশমিক ৬ ও ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাকি জেলাগুলোতে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার পূর্বাভসে বলা হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে আগামী কাল সকাল আটটা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। যেহেতু ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না তাই আশা করা যাচ্ছে ভোটগ্রহণ শুরু করতে কুয়াশা কোনো বাঁধা হবে না।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আবহাওয়াবিদ মো. আরিফ হোসেন সারাবাংলাকে বলেছেন, নির্বাচনের দিনটি শীতকালের দিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আরামদায়ক হবে। শীতের তীব্রতা থাকবে তবে যেসব কারণে একটি শীতের দিনকে দুর্যোগপূর্ণ বলা হয় সেরকম কোনো বিষয় নির্বাচনের দিনে থাকবে না। কুয়াশা বা মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না, তাই এ আবহাওয়াবিদ আশা করছেন—নির্বাচনের দিনটি হবে রৌদ্রজ্জ্বল।

আরিফ হোসেন আরও বলেন, শীতের যে তীব্রতা থাকবে তা রোদ উঠলেই কেটে যাবে। তাই সকালে ভোট প্রদানে কোনো বাঁধা তিনি দেখছেন না।

বিজ্ঞাপন

তাহলে এই তীব্র শীত আর শীতের বুকে থাকা উষ্ণ সূর্যটাকে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাই নির্বাচনের দিনের দিকে। নির্বাচন এমন একটা দিন যেদিন আমাদের মতো সাধারণ মানুষ নির্ধারণ করেন দেশের ভবিষ্যত। এই ভবিষ্যতের কাণ্ডারী হিসেবে আমরা যাকেই নির্ধারণ করি, জানতে হবে —আগামীতে যে সূর্যটা উঠবে সেটা যেন বাংলাদেশের সূর্য হয়। আর সেই সূর্যের আলো দেখতে পায় সারাবিশ্ব।

সারাবাংলা/এমএ/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন