বিজ্ঞাপন

থাই উড়োজাহাজে এসআই’র কাণ্ড, যাচাইয়ে তদন্ত কমিটি

February 19, 2018 | 9:45 pm

উজ্জল জিসান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই পুলিশের পোশাক পড়া অবস্থায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজে উঠে পড়েন এক পুলিশ কর্মকর্তা। পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের এসআই আশিকুর রহমানের এমন কাণ্ডে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে শনিবার এক ঘণ্টা দেরিতে ফ্লাইটটি ব্যাংককের উদ্দেশে ছেড়ে গেলেও ওই এসআই আশিকুরের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

উল্টো তাকে বাঁচাতে নানাভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এ ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখতে এরই মধ্যে দুই সদস্যের একটি কমিটি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। কমিটিতে রয়েছেন, শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মোশারফ হোসেন ও অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্সের (এভসেক) এক প্রতিনিধি।

বিজ্ঞাপন

পুলিশের একটি ঊর্ধ্বতন সূত্র সারাবাংলাকে জানিয়েছে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সেই প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে ওই এসআই’র বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, তল্লাশি ছাড়া কোনো ব্যক্তির বিমান পর্যন্ত যেতে পারার কথা না। এতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টদের চরম গাফিলতির কথাও উল্লেখ করেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা।

এদিকে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ওই এসআই’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।

তিনি বলেন, ইমিগ্রেশন পুলিশ ও গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ওই এসআই’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনগত কারণে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। সম্প্রতি তাকে মুন্সিগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। সেখানে যোগদানের পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান মোশারফ হোসেন বলেন, ঘটনার দুইদিন পর সোমবার একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

গত শনিবার রাতে তদন্তের কথা বলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পুলিশের পোশাক পরে আশিকুর রহমান বিদেশগামী এক আত্মীয়ের সঙ্গে ব্যাংককগামী থাই এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজে (টিজি-৩৪০) ওঠেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে বলে পাইলট বিমান চালাতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ওই ফ্লাইটটি এক ঘণ্টা দেরিতে রাত তিনটায় বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

যে মুহুর্তে যুক্তরাজ্য সরকার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে কার্গোতে মালামাল পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ঠিক সেই সময় পুলিশের এসআই কাণ্ডে বিব্রত পরিস্থিতিতে পড়েছেন বিমানবন্দর নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা।

বিমানবন্দরের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (সিএসও) রাশেদা সুলতানা বলেন, কিভাবে ওই এসআই বিমানবন্দরের ভেতরে পোশাক পড়া অবস্থায় প্রবেশ করলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ তাকে সহায়তা করেছে কিনা তাও দেখা হচ্ছে বলে জানান প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/জেডএফ/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন