বিজ্ঞাপন

দাবি মানলেন ঢাবি উপাচার্য

January 17, 2018 | 8:09 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ছাত্রলীগের যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছেন উপাচার্য। ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের দাবি যৌক্তিক। বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিলেই ব্যবস্থা নেব। তবে এভাবে আন্দোলন না করে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি আমার সঙ্গে আলোচনা করলেই নিজেরাই সমাধান করতে পারতাম। অবশ্যই দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি তোমাদের দাবি মেনে নিচ্ছি। খুব শিগগিরিই দাবি কার্যকর করা হবে।’

উপাচার্যের  আশ্বাসের পর আন্দোলনরত ঢাবি শিক্ষার্থী আসাদ মাহাদী জানান, আগামী রোববারের মধ্যে কর্তৃপক্ষ আমাদের তিনটি দাবি কার্যকর না করলে সোমবার থেকে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে। আপাতত আমাদের বিক্ষোভ স্থগিত থাকবে।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীরা জানান, সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল চেয়ে গত ১৫ জানুয়ারি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কর্মসূচি দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ভিসির বাসভবনের সামনে গেলে সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। এ সময় আন্দোলনে থাকা কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যৌন হয়রানি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।

ছাত্রলীগের বঙ্গবন্ধু হল শাখার সভাপতি আল-আমিন, ছাত্রলীগ নেতা মেহেদি হাসান সামি, সোহানুর রহমান, গোলাম সারোয়ারসহ মোট আট জন যৌন নিপীড়ন করেন বলে তাদের অভিযোগ। কিন্তু প্রক্টরকে বিষয়টি জানানোর পরও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

বুধবার(১৭ জানুয়ারি) যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে বেলা ১১টার দিকে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়। শেষে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে আসে। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দিয়ে প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। তাদের দেখে প্রক্টর কার্যালয়ের কলাপসিবল গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা গেট ভেঙে প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানীকে তার কার্যালয়ের সামনে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় তারা তিনটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- যৌন নিপীড়নকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা, তদন্ত কমিটিতে ছাত্রদের দুইজন প্রতিনিধি রাখা এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া।

অবরুদ্ধ থাকার একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রক্টর গোলাম রব্বানী। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেন। কিন্তু বিক্ষুব্ধরা প্রক্টরের আশ্বাস মানেননি। ফলে প্রক্টর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের কার্যালয়ে যান।

সারাবাংলা/এসআর/এনএস/জেডএফ

 

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন