August 21, 2018 | 1:52 pm
|| ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ||
দিনাজপুর: দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে অবস্থিত উপ-মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মিনারে বুধবার (২২ আগস্ট) ৪র্থ বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঈদের নামাজ। এদিন সকাল ৯টায় ঈদউল আজহার নামাজের জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের নামাজ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আদায়ের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে অবস্থিত ঈদগাহ মিনারে এবার ৫ লাখ মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করবে বলে আশা করেছে কর্তৃপক্ষ। এবারে ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের ইমাম মাওলানা শামসুল হক কাসেমি।
উপ-মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মিনারে ঈদের নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদরা কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সকল প্রকার নাশকতামূলক ঘটনা এড়াতে ঈদের আগের দিন থেকে নামাজ আদায় পর্যন্ত মাঠ জুড়ে বিপুল পরিমাণের পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পুলিশের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি-র্যাব সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলরত অবস্থায় থাকবেন। এছাড়া সাদা পোষাকে দায়িত্বরত থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা শাখার বিপুল পরিমাণ সদস্য।
সর্ববৃহৎ এই ঈদগাহ মিনারে বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর, পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েমসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের ঈদের নামাজে অংশ গ্রহণের কথা রয়েছে।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ আবু সায়েম সারাবাংলাকে জানান, পবিত্র ঈদউল আজহার নামাজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিতের লক্ষ্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে মাঠে প্রবেশকারী মুসল্লিদের তল্লাশি করা হবে। মুসল্লিদের ছাতা-জায়নামাজ ব্যতীত অন্য কিছু নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবেনা। মাঠের প্রতিটি স্থানে নিরাপত্তার স্বার্থে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী টাওয়ার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টাওয়ার থেকে সার্বক্ষনিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।
উল্লেখ, উপ-মহাদেশের সর্ববৃহৎ মিনারে রয়েছে ৫২টি গম্বুজ। প্রধান গম্বুজের সামনে রয়েছে মেহরাব, যেখানে ইমাম দাঁড়াবেন, তার উচ্চতা ৪৭ ফুট। এর পাশাপাশি রয়েছে ৫১টি গম্বুজ। এ ছাড়া ৫১৬ ফুট দৈর্ঘ্যরে ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়েছে। ঈদগাহ মাঠের দু ধারে করা হয়েছে অজুর ব্যবস্থা। পুরো মিনার সিরামিক্স ইট দিয়ে আচ্ছাদিত করা হয়েছে। প্রতিটি গম্বুজ ও মিনারে রয়েছে বৈদ্যুতিক লাইটিং। রাত হলেই ঈদগাহ মিনার আলোকিত হয়ে ওঠে।
ইতিপূর্বে তিনটি ঈদের নামাজ আদায় করা হয়েছে। প্রতি বারের ন্যায় এবারও কয়েক লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম ঘটবো বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
সারাবাংলা/এমআইআর/ এমএইচ