বিজ্ঞাপন

দুই উন্নয়ন প্রকল্পে কাটা পড়ছে সংরক্ষিত বনভূমির ৩২০০ গাছ

May 14, 2018 | 1:29 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : সরকারের দুই উন্নয়ন প্রকল্পে সংরক্ষিত বনভূমির ৩ হাজার ২ শ ৪৭টি গাছ কাটা পড়ছে। সোমবার (১৪ মার্চ) এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

কক্সবাজারে পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তেল শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ১ হাজার ৭০১টি গাছ কাটা হবে। এছাড়া গাজীপুরে যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতায় একটি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য কাটা হবে ১ হাজার ৫ শ ৪৬টি গাছ।

চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) ডিপোতে আমদানি করা জ্বালানি তেল পরিশোধনের জন্য মহেশখালীতে সরবরাহ করা হবে। এ জন্য ‘ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ প্রকল্পের আওতায় ১৯০ দশমিক ৯৫৬ একর সংরক্ষিত বনভূমির গাছ কাটার প্রয়োজন পড়বে।  এ বনজ সম্পদের  ক্ষতিপূরণ ধরা হয়েছে এককোটি ৩৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ভূমি ব্যবহারের জন্য ফিক্সড ডিমান্ড চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে বিপিসিকে প্রতিবছর একর প্রতি দুই হাজার ৪০০ টাকা রাজস্ব দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

গাছ কাটার শর্তে বলা হয়েছে, যে পরিমাণ গাছের ক্ষতি হবে, তার পাঁচ গুণ গাছ লাগাতে হবে। বিপিসিকে ১০ বছর গাছের রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।

সরকারি প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) পরিশোধনের জন্য আমদানি করা অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খালাসের বর্তমান পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল, ঝুঁকিপূর্ণ, অপচয়মূলক ও পরিবেশের প্রতি প্রতিকূল। ইআরএলের ক্ষমতা বাড়ানো ও জ্বালানি তেল খালাস সহজ, দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার বিষয়ে ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) অর্থায়নে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নিয়োজিত পরামর্শক এনার পেট্রোটেক সার্ভিসেস (প্রা.) লিমিটেডের সুপারিশ বিচেনায় নিয়ে ‘ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং’ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পরিবহণ খরচ ও অপচয়সহ সরকারের বাৎসরিক প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পটি ২০১০ সালের ১১ মে একনেকে অনুমোদন দেওয়ার পর ২০১১ সালের ১০ এপ্রিল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ৭ দশমিক ১৮৪ মিলিয়ন ইউরো মূল্যে জার্মানির আইএলএফ কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্সকে পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করে।

পরে ২০১১ সালের ১১ মে তারিখে ২৭ মাসের মেয়াদের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত বনভূমির ২.৩৪ একর জায়গা মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। ওই জায়গায় এক হাজার ৪০০টি আকাশমনি, ১০০টি মূলিবাঁশ, ৩০টি বরাকবাঁশ, সাতটি কাঁঠালগাছ, চারটি গামারিগাছ, দুটি করে জাম ও আমগাছ এবং একটি তালগাছ রয়েছে। আকাশমনি গাছগুলো সামাজিক বনায়নের উদ্যোগে উপকারভোগীদের সম্পৃক্ততায় লাগানো হয়েছে। ২০২৪ সালে এসব গাছ পূর্ণতা পেত। মেয়াদ পূর্তিতে ওই জায়গার গাছগুলোর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।

স্টেডিয়ামের জন্য সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ওই জমি বরাদ্দ করার সময় ব্যবহারের শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত দুই দশমিক ৩৪ একর ভূমি স্টেডিয়াম ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এইচএ/একে

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন