বিজ্ঞাপন

দুই বছরেও ধরা পড়েনি তনুর হত্যাকারীরা

March 20, 2018 | 9:42 am

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

কুমিল্লা :  কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলার দুই বছর আজ (২০ মার্চ)। দীর্ঘ সময়েও তনুর খুনিরা শনাক্ত হয়নি এবং মামলার উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতিও নেই। খুনি চিহ্নিত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ তনুর সহপাঠী এবং স্বজনরা।

তনুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরের একটি জঙ্গলে তনুর মরদেহ পায় স্বজনরা। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

থানা পুলিশ ও ডিবি’র পর ২০১৬ সালের পয়লা এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি কুমিল্লা। পরে তদন্তের স্বার্থে তনুর মরদেহ কবর থেকে তুলে দুই দফা ময়নাতদন্ত করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফরেনসিক বিভাগ। তাতে মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি। শেষ ভরসা ছিল ডিএনএ রিপোর্ট। গত বছরের মে মাসে সিআইডি তনুর জামা-কাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তিনজন পুরুষের শুক্রানু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

সর্বশেষ সন্দেহভাজন হিসেবে তিনজনকে ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত সিআইডির একটি দল ঢাকা সেনানিবাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ করা ব্যক্তিরা তনুর মায়ের সন্দেহ করা আসামি বলেও সিআইডি জানায়। তবে তাদের নাম জানানো হয়নি।

এ ব্যাপারে গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লার সংগঠক খায়রুল আনাম রায়হান জানান, তনু হত্যার মামলাটি দীর্ঘদিন সিআইডিতে পড়ে আছে মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। গত দুই বছরেও আইন শৃঙ্খলা-বাহিনী হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পারেনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, তনুর শরীরে যে তিনজন পুরুষের শুক্রানু পাওয়া গেছে তাদের এখন পর্যন্তও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

তনুর হত্যাকারীদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে তার সহপাঠিরা। প্রয়োজনে তনু হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজন আসামিদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছেন তারা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনাও করেন তারা।

এদিকে এ ব্যাপারে তনুর পরিবারের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সারাবাংলা/টিএম/এমএইচ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন