July 11, 2018 | 6:39 pm
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি বিবেচনায় দুই রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার এবং আরও দুই কূটনীতিকের ওপর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে গ্রিস। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, রাশিয়ান ওই কর্মকর্তারা সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছেন এবং সেগুলো পাচার করেছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, এর প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়াও দুই গ্রিক কূটনীতিককে বহিষ্কার করবে বলে জানিয়েছে।
অ্যাথেন্স থেকে প্রকাশিত দৈনিক কাথিমেরিনির খবরে বলা হয়েছে, গ্রিসে নিযুক্ত রুশ কূটনীতিকরা বিভিন্ন গোপন নথি সংগ্রহ করছেন, যেগুলো পরবর্তী সময়ে গ্রিক কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার কাজে ব্যবহার করে হতে পারে— এমন অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ে। এর পরপরই দুই রুশ কূটনীতিককে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে গ্রিস।
ঊর্ধ্বতন কূটনীতিকদের উদ্ধৃত করে কাথিমেরিনি বহিষ্কারাদেশ পাওয়া একজন কূটনীতিকের নাম জানিয়েছে। তিনি রুশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ভিক্টর ইয়াকোভলেভ। তিনিসহ অন্য রুশ কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গ্রিসের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সংবেদনশীল তথ্য, বিশেষত মেসিডোনিয়া বিষয়ক বিভিন্ন নথি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন তারা।
গ্রিসের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে সাধারণত একই মাত্রার পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে। রাশিয়া সেটাই করবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়া ও গ্রিসের মধ্যে চমৎকার কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে সম্প্রতি এথেন্সের ওপর মস্কো প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন খবরে প্রকাশ হয়। এর মধ্যেই রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘটনা ঘটলো। যদিও কূটনৈতিক সূত্রগুলো কাথিমেরিনিকে বলছে, গ্রিস বরাবরই রাশিয়ার সাথে ‘ভালো ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক’ বজায় রাখতে চায়।
এর আগে, গত মার্চে ব্রিটিশ এক গোয়েন্দার ওপর নার্ভ এজেন্ট হামলার পেছনে রাশিয়াই জড়িত বলে একমত হয় ইইউ। এরপর ২৫টি দেশ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হয়। তবে ওই দেশগুলোর মধ্যে ছিল না গ্রিস। ওই সময় গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস ব্রিটিশ গোয়েন্দার ওপর হামলায় যুক্তরাজ্যের প্রতি ‘সমবেদনা’ জানালেও এই ইস্যুতে ‘দায়িত্বশীল’ আচরণ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন।
সারাবাংলা/টিআর